সালেহউদ্দিন : সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়ররা পদত্যাগ করে নির্বাচন করলেও সংসদ সদস্যরা নির্বাচন করবেন পদে থেকেই। শুধু তাই নয় নির্বাচনে পরাজিত হলেও সংসদের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা সংসদ সদস্য হিসেবে বহাল থাকবেন। ফলে একই সাথে দু'জন সংসদ সদস্যকে দেখা যাবে। এদের একজন নবনির্বাচিত, অন্যজন বিদায়ী। নবনির্বাচিতরা বিদায়ী সংসদ সদস্যের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শপথের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এটি বর্তমান সংবিধানেরই বিধান।
সম্প্রতি সিটি করপোরেশনের চারজন মেয়র পদত্যাগ করে মেয়র নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ এর ৯ (২) ধারার (ঙ) উপ-ধারায় বলা আছে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তি মেয়র নির্বাচনে অংশ গ্রহণে অযোগ্য হবেন। সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে মেয়র পদকে লাভজনক পদ হিসেবে ঘোষণা করেছে। যে কারণে নির্বাচিত মেয়রদেরকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে হচ্ছে।
এদিকে পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধন আইন অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা তাদের পদে থেকে নির্বাচনে অংশ নিবেন। সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদে (ক) উপ-অনুচ্ছেদে বলা হয়, "সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে-মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙ্গিয়া যাইবার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে।" ওই বিধানের কারণে সংসদ বহাল রেখেই নির্বাচন কমিশনকে আরেকটি সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। নির্বাচনকালীন সময়ে সংসদ সদস্যরা তাদের দায়িত্বে থাকবেন। এমনকি চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন সংসদের নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এ প্রসঙ্গে সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদের শর্তাংশে বলা হয়েছে, "তবে শর্ত থাকে যে (ক) উপ-দফা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিগণ, উক্ত উপ-দফায় উল্লেখিত মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সংসদ সদস্যরূপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না।" ফলে কোন কোন আসনে দু'জন সংসদ সদস্যকে দেখা যাবে। এদের একজন পরিচিত হবেন নবনির্বাচিত সংসদরূপে, অন্যজন বিদায়ী সদস্য হিসেবে।
আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সিটি মেয়ররা যেখানে পদত্যাগ করে নির্বাচন করছেন সেখানে সংসদ সদস্যরা স্বপদে থেকে নির্বাচন করবেন। এটি সংবিধানে সমতার নীতির লংঘন। তাছাড়া সংসদ সদস্যের পদ লাভজনক পদ কিনা এ নিয়ে বিতর্ক দেখা দেবে। যেহেতু সংসদ বিলুপ্ত বা বাতিলের পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো সেজন্য এই বিতর্কটি এর আগে কখনো উঠেনি। প্রসঙ্গত, সংবিধানের ৬৬ (৩) অনুচ্ছেদে কোন কোন পদ লাভজনক পদ বলে গণ্য হবে না তার একটি তালিকা রয়েছে। ওই তালিকায় সংসদ সদস্যদের পদটি নেই। ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, "কোন ব্যক্তি কেবল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী হইবার কারণে প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত বলিয়া গণ্য হইবেন না।" ফলে বিষয়টি নিয়ে সাংবিধানিক বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে। যদিও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তিনি সংসদ বিলুপ্ত করার জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করবেন। কিন্তু আমাদের সংবিধান অনুযায়ী একমাত্র সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থন হারালেই কেবল প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে সংসদ ভেঙ্গে দিতে বলতে পারেন। এই বিষয়টি ছাড়া সংবিধান প্রধানমন্ত্রীকে সংসদ ভাঙ্গার আর কোন ক্ষমতা দেয়নি। সংবিধানের ৫৭ (২) অনুচ্ছেদে এ প্রসঙ্গে উল্লেখ রয়েছে, "সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থন হারাইলে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করিবেন কিংবা সংসদ ভাঙ্গিয়া দিবার জন্য লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শদান করিবেন এবং তিনি অনুরূপ পরামর্শদান করিলে রাষ্ট্রপতি, অন্য কোন সংসদ সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের আস্থাভাজন নহেন এই মর্মে সন্তুষ্টু হইলে, সংসদ ভেঙ্গে দিবেন।" ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সংসদ ভাঙ্গিয়া দিবার কথা বললেই রাষ্ট্রপতি সংসদ ভাঙ্গিয়া দিতে পারেন না। যতদিন সংসদের মেয়াদ আছে ততদিনের জন্য অন্য কোন সংসদ সদস্যের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন আছে কিনা তা তিনি খতিয়ে দেখবেন। বর্তমান ক্ষেত্রে হয়ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা চাইবেন সংসদ সদস্যরা তাতে সমর্থন দেবেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে সংবিধানের এই বিধান সকল সময়ের জন্য। ফলে ভবিষ্যতে এ নিয়ে জটিলতা হবে না তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। এ কারণে সংবিধান বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সংসদ বহাল রেখে সংসদ নির্বাচনের বিধানটি সংবিধান থেকে বাদ দেয়া উচিত।
এদিকে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ১৪ ধারায় উল্লেখ রয়েছে, "(১) সংসদের কোন শূন্য আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবার ক্ষেত্রে সরকারের কোন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপ-মন্ত্রী কিংবা উক্ত মন্ত্রীদের পদমর্যাদা সম্পন্ন সরকারি সুবিধাভোগী কোন ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন-পূর্ব সময়ের মধ্যে কোন সফর বা নির্বাচনী প্রচারণায় যাইতে পারিবেন না; তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি উক্ত নির্বাচনী এলাকার ভোটার হইলে তিনি কেবল ভোট প্রদানের জন্য উক্ত এলাকায় যাইতে পারিবেন। "
এ বিধানটি করা হয়েছিল সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর আগে। অর্থাত্ পঞ্চদশ সংশোধনীর আগে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো সংসদের মেয়াদ শেষে অথবা সংসদ বিলুপ্ত হওয়ার পর। ফলে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কারোই কোন পদমর্যাদা ছিল না। বর্তমানে সংসদ বহাল থাকলে এবং মন্ত্রী ও এমপিরা নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক হলে আইনগত জটিলতা এবং সংবিধানের সমতার নীতি লংঘিত হবে। প্রসঙ্গত সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, "সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।" সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের কারণে কেউ ক্ষমতায় থেকে এবং কাউকে ক্ষমতার বাইরে থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। সংসদীয় গণতন্ত্রের সূতিকাগার বৃটেন এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের বৃহত্তম দেশ ভারতে সংসদ বাতিলের পর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।-ইত্তেফাক
সম্প্রতি সিটি করপোরেশনের চারজন মেয়র পদত্যাগ করে মেয়র নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ এর ৯ (২) ধারার (ঙ) উপ-ধারায় বলা আছে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তি মেয়র নির্বাচনে অংশ গ্রহণে অযোগ্য হবেন। সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে মেয়র পদকে লাভজনক পদ হিসেবে ঘোষণা করেছে। যে কারণে নির্বাচিত মেয়রদেরকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে হচ্ছে।
এদিকে পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধন আইন অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা তাদের পদে থেকে নির্বাচনে অংশ নিবেন। সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদে (ক) উপ-অনুচ্ছেদে বলা হয়, "সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে-মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙ্গিয়া যাইবার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে।" ওই বিধানের কারণে সংসদ বহাল রেখেই নির্বাচন কমিশনকে আরেকটি সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। নির্বাচনকালীন সময়ে সংসদ সদস্যরা তাদের দায়িত্বে থাকবেন। এমনকি চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন সংসদের নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এ প্রসঙ্গে সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদের শর্তাংশে বলা হয়েছে, "তবে শর্ত থাকে যে (ক) উপ-দফা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিগণ, উক্ত উপ-দফায় উল্লেখিত মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সংসদ সদস্যরূপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না।" ফলে কোন কোন আসনে দু'জন সংসদ সদস্যকে দেখা যাবে। এদের একজন পরিচিত হবেন নবনির্বাচিত সংসদরূপে, অন্যজন বিদায়ী সদস্য হিসেবে।
আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সিটি মেয়ররা যেখানে পদত্যাগ করে নির্বাচন করছেন সেখানে সংসদ সদস্যরা স্বপদে থেকে নির্বাচন করবেন। এটি সংবিধানে সমতার নীতির লংঘন। তাছাড়া সংসদ সদস্যের পদ লাভজনক পদ কিনা এ নিয়ে বিতর্ক দেখা দেবে। যেহেতু সংসদ বিলুপ্ত বা বাতিলের পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো সেজন্য এই বিতর্কটি এর আগে কখনো উঠেনি। প্রসঙ্গত, সংবিধানের ৬৬ (৩) অনুচ্ছেদে কোন কোন পদ লাভজনক পদ বলে গণ্য হবে না তার একটি তালিকা রয়েছে। ওই তালিকায় সংসদ সদস্যদের পদটি নেই। ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, "কোন ব্যক্তি কেবল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী হইবার কারণে প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত বলিয়া গণ্য হইবেন না।" ফলে বিষয়টি নিয়ে সাংবিধানিক বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে। যদিও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তিনি সংসদ বিলুপ্ত করার জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করবেন। কিন্তু আমাদের সংবিধান অনুযায়ী একমাত্র সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থন হারালেই কেবল প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে সংসদ ভেঙ্গে দিতে বলতে পারেন। এই বিষয়টি ছাড়া সংবিধান প্রধানমন্ত্রীকে সংসদ ভাঙ্গার আর কোন ক্ষমতা দেয়নি। সংবিধানের ৫৭ (২) অনুচ্ছেদে এ প্রসঙ্গে উল্লেখ রয়েছে, "সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থন হারাইলে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করিবেন কিংবা সংসদ ভাঙ্গিয়া দিবার জন্য লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শদান করিবেন এবং তিনি অনুরূপ পরামর্শদান করিলে রাষ্ট্রপতি, অন্য কোন সংসদ সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের আস্থাভাজন নহেন এই মর্মে সন্তুষ্টু হইলে, সংসদ ভেঙ্গে দিবেন।" ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সংসদ ভাঙ্গিয়া দিবার কথা বললেই রাষ্ট্রপতি সংসদ ভাঙ্গিয়া দিতে পারেন না। যতদিন সংসদের মেয়াদ আছে ততদিনের জন্য অন্য কোন সংসদ সদস্যের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন আছে কিনা তা তিনি খতিয়ে দেখবেন। বর্তমান ক্ষেত্রে হয়ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা চাইবেন সংসদ সদস্যরা তাতে সমর্থন দেবেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে সংবিধানের এই বিধান সকল সময়ের জন্য। ফলে ভবিষ্যতে এ নিয়ে জটিলতা হবে না তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। এ কারণে সংবিধান বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সংসদ বহাল রেখে সংসদ নির্বাচনের বিধানটি সংবিধান থেকে বাদ দেয়া উচিত।
এদিকে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ১৪ ধারায় উল্লেখ রয়েছে, "(১) সংসদের কোন শূন্য আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবার ক্ষেত্রে সরকারের কোন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপ-মন্ত্রী কিংবা উক্ত মন্ত্রীদের পদমর্যাদা সম্পন্ন সরকারি সুবিধাভোগী কোন ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন-পূর্ব সময়ের মধ্যে কোন সফর বা নির্বাচনী প্রচারণায় যাইতে পারিবেন না; তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি উক্ত নির্বাচনী এলাকার ভোটার হইলে তিনি কেবল ভোট প্রদানের জন্য উক্ত এলাকায় যাইতে পারিবেন। "
এ বিধানটি করা হয়েছিল সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর আগে। অর্থাত্ পঞ্চদশ সংশোধনীর আগে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো সংসদের মেয়াদ শেষে অথবা সংসদ বিলুপ্ত হওয়ার পর। ফলে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কারোই কোন পদমর্যাদা ছিল না। বর্তমানে সংসদ বহাল থাকলে এবং মন্ত্রী ও এমপিরা নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক হলে আইনগত জটিলতা এবং সংবিধানের সমতার নীতি লংঘিত হবে। প্রসঙ্গত সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, "সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।" সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের কারণে কেউ ক্ষমতায় থেকে এবং কাউকে ক্ষমতার বাইরে থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। সংসদীয় গণতন্ত্রের সূতিকাগার বৃটেন এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের বৃহত্তম দেশ ভারতে সংসদ বাতিলের পর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।-ইত্তেফাক
খবর বিভাগঃ
বিশেষ খবর
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়