ঢাকা : কে হচ্ছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর পরবর্তী চেয়ারম্যান? আলোচনায় বেশ কয়েক জনের নাম। বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বিদায় নিচ্ছেন ২৪শে জুন। তার আগেই নিয়োগ দেয়া হবে নতুন চেয়ারম্যান। এই নিয়োগের জন্য একটি কমিটি আছে, ওই কমিটি পরবর্তী চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্য কমিশনার হিসেবে প্রতি ১ জনের বিপরীতে ২ জনের নাম প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠাবেন। প্রেসিডেন্ট এইসব নামের মধ্য থেকে একজনকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেবেন। বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম রহমানকে নিয়োগ দেয়া হয় ২০০৯ সালের এপ্রিলে। তিনি কাজে যোগ দেন ওই বছর ২৩শে জুন। আগামী ২৩শে জুন হবে তার শেষ কার্যদিবস, তিনি বিদায় নেবেন ২৪শে জুন। সূত্র মতে তার আগেই একজন নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। পরবর্তী চেয়ারম্যান পদে কাকে নিয়োগ দেয়া হবে সরকারি পর্যায়ে তার বাছাই কাজ চলছে। শোনা যাচ্ছে বেশ কয়েকজনের নাম তাদের মধ্য থেকে যে কাউকে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করা হতে পারে। বর্তমানে আলোচনায় আছেন দুদকের বর্তমান কমিশনার বদিউজ্জামান, সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, সাবেক বিচারপতি মুসা খালেদ এবং সাবেক বিচারপতি রোজেয়ানুল হকের নাম। দুর্নীতি দমন ব্যুরোকে ২০০৪ সালে করা হয় দুর্নীতি দমন কমিশন। কমিশন হওয়ার পর প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি সুলতানউদ্দিন। কমিশনের দ্বিতীয় চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান হাসান মাশহুদ চৌধুরী। তৃতীয় চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম রহমান। বর্তমানে যারা দুদকে কমিশনার হিসেবে কর্মরত আছেন তাদের মধ্য থেকে কাউকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। নাকি কমিশনের বাইরে থেকে সাবেক কোন বিচারপতিকে নিয়োগ দেয়ার সুপারিশ করা হবে সে বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে একটি সূত্র বলছে, দুদকের বর্তমান কমিশনার বদিউজ্জামান অথবা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু- এ দু’জনের মধ্য থেকে একজনকে চেয়ারম্যান নিয়োগের সুপারিশ করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর চেয়ে বদিউজ্জামান সিনিয়র হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাকেই চেয়ারম্যান করা হতে পারে বলে সূত্রটি জানিয়েছে। দুদকে তিন সদস্যের কমিশনার প্যানেল থেকে একজনকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। বদিউজ্জামান বা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু এদের যে কোন একজনকে চেয়ারম্যান করা হলে আরেকজন নতুন কমিশনার নিয়োগ দিতে হবে। সূত্রমতে আরেকজন নতুন কমিশনার নিয়োগের বিষয়টিও আলোচনা হচ্ছে। দুদক কমিশনার ও চেয়ারম্যান নিয়োগের সুপারিশ কমিটিতে আছেন আপিলেট ডিভিশনের ২ জন বিচারপতি, পিএসসি চেয়ারম্যান, প্রধান হিসাব নিয়ন্ত্রক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব। ওই কমিটির সদস্য সচিব হচ্ছেন জনপ্রশাসন সচিব। কমিটি নামের সুপারিশ করে প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানোর পর প্রেসিডেন্ট সুপারিশকৃত নামের মধ্য থেকে একজনকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
দুদক আলোচিত হয়ে ওঠে ওয়ান ইলেভেনের সময়। তখন চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান হাসান মাশহুদ চৌধুরী। দেশের অনেক বড় বড় দুর্নীতিবাজ রাজনীতিক, আমলা অসাধু ব্যবসায়ীকে বিচারের মুখোমুখি করা হয় সে সময়। তবে আইনি কিছু ত্রুটি থাকার কারণে অনেক দুর্নীতিবাজের বিচার করা যায়নি। অনেকে আবার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে বিচার প্রক্রিয়াকে স্থগিত করতে সক্ষম হন এসব কারণে। দুদকের বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম রহমানের আমলে কমিশন আলোচনায় আসে পদ্মা সেতু, হল-মার্ক ও ডেসটিনি কেলেঙ্কারির ঘটনায়। হল-মার্ক বিষয়টি দুদক শক্ত হাতে করতে পারলেও, এখনও ঝুলে আছে ডেসটিনি। - মানব জমিন
দুদক আলোচিত হয়ে ওঠে ওয়ান ইলেভেনের সময়। তখন চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান হাসান মাশহুদ চৌধুরী। দেশের অনেক বড় বড় দুর্নীতিবাজ রাজনীতিক, আমলা অসাধু ব্যবসায়ীকে বিচারের মুখোমুখি করা হয় সে সময়। তবে আইনি কিছু ত্রুটি থাকার কারণে অনেক দুর্নীতিবাজের বিচার করা যায়নি। অনেকে আবার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে বিচার প্রক্রিয়াকে স্থগিত করতে সক্ষম হন এসব কারণে। দুদকের বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম রহমানের আমলে কমিশন আলোচনায় আসে পদ্মা সেতু, হল-মার্ক ও ডেসটিনি কেলেঙ্কারির ঘটনায়। হল-মার্ক বিষয়টি দুদক শক্ত হাতে করতে পারলেও, এখনও ঝুলে আছে ডেসটিনি। - মানব জমিন
খবর বিভাগঃ
বিশেষ খবর
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়