আমতলী (বরগুনা): বরগুনার আমতলীতে সূর্যমুখীর বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শত শত কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। চলতি বছরে আমতলীতে ৪৫হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। জানা যায়, হলদিয়া এলাকায় ২২ জন চাষী ১৯.৭৫ একর জমিতে, বাজারখালী এলাকায় ৩৮ জন চাষী ২৩ একর, উপজেলার ঘটখালী গ্রামে অর্ধশতাধিক চাষী ২৮ একর জমিতে সূর্ষমুখী চাষ করেছেন। তারিকাটা এলাকায় ৪০ জন চাষি ৪০ একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। উপজেলার হলদিয়া এলাকায় নান্নু প্যাদা প্রায় ৪ বিঘা জমিতে সূর্ষমুখী চাষ করেছেন। তিনি জানান, এ চাষে সাধারণত কখনও লোকসান হয় না। লাভজনক একটি চাষ। সরকার চাষীদের সূর্যমুখীর বীজ ও সার দিয়ে সহযোগিতা করলে গরিব চাষিদেরও এ চাষে আগ্রহ বাড়বে। উপজেলা কৃর্ষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রেজা ই মাহমুদ বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৪৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ব্র্যাকের সহযোগিতায় ১২০.২১ একর ও বাকি জমিতে চাষিরা নিজ উদ্যোগে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মিলন কুমার রায় বলেন, সকালে উদীয়মান সূর্যের দিকে তাকিয়ে ফোটা এ সূর্যমুখীর প্রতিটি ফুলে ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত বীজ হয়। এ বীজ থেকে প্রাপ্ত তেল অন্যান্য খাবার তেলের চেয়ে মানসম্মত, যা শরীরের কোনো ক্ষতি করে না। বরং হাই প্রেসার ব্যক্তিরা এ তেল খেলে শরীরের জন্য খুবই উপকারী। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: আবু সালেহ জানান, আমতলীতে সূর্যমুখী চাষ দু’বছর ধরে শুরু হয়েছে। ব্র্যাকের আর্থিক সহায়তা পাওয়ার কারণে এবছরই এ চাষ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার। প্রতি একরে কমপক্ষে ২৫-৩০ মণ ফলন হবে, যা বিক্রি করে প্রায় লাখ লাখ টাকা পাবে। কিন্তু কৃষকের খরচ হয়েছে ১৪-১৫ হাজার টাকা।(ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়