ঢাকা: ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিসব। বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংহতি প্রকাশের দিন। শ্রমিক শ্রেণির সংগ্রামের প্রতীকী ও বিজয় উৎসবের দিন। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালন করা হয়।
এদিনটির পেছনে আছে মর্মান্তিক এক ইতিহাস। বাংলাদেশের শ্রমিকরাও এবার এ দিনটি পালন করছে মর্মান্তিক ঘটনাকে সঙ্গে নিয়ে।
এবারের মে দিবসের ঠিক এক সপ্তাহ আগে সাভারে রানা প্লাজায় গার্মেন্ট কারখানা ধসে শত শত শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সাভারের তাজরীন ফ্যাশন্সে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে ১১২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। সে ক্ষত শুকাতে না শুকাতেই আবারও এ ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা।
সাভারসহ এখন পুরো দেশজুড়ে এখন লাশ আর শোকের কান্না। শ্রমিকদের ঘরে ঘরে আর্তনাদ। স্বজনহারা অগণিত মানুষের আহাজারিতে দেশের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
মালিক শ্রেণির উদাসীনতা আর মুনাফা লাভের বিবেকহীনতার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে সাভার ট্র্যাজেডি। অসহনীয় বেদনা ও ক্ষোভ নিয়ে শ্রমিকরা পালন করবে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। অধিকারহীনতার মধ্যেই শ্রমিক সংগঠনগুলো বলবে অধিকারের কথা।
মহান মে দিবস উপলক্ষে বুধবার সরকারি ছুটি। সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব তফসিলি ব্যাংক ও কলকারখানা বন্ধ থাকবে। সংবাদপত্র কার্যালয়ে ছুটি থাকায় বৃহস্পতিবার দেশে কোনো সংবাদপত্র প্রকাশ হবে না।
১৮৮৬ সালের এ দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের সহস্রাধিক শ্রমিক দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের অধিকার আদায়ে আন্দোলন শুরু করে। ওদিনে সুচনা হওয়া আন্দোলন চলে ৩ ও ৪ মে পর্যন্ত। শ্রমিকদের মরণপণ আন্দোলনে পুলিশ বাহিনী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা শ্রমিকদের মিছিলে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। এতে নিহত হন ১০ শ্রমিক। আহত হন অনেক।
সেসময় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেন সহস্রাধিক শ্রমিক। আন্দোলন করার অপরাধে সে দেশের সরকার ৬ শ্রমিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। কারাগারেই এক শ্রমিক নেতা আত্মহত্যা করেন। পরবর্তীতে শ্রমিকদের আন্দোলন ও রক্তত্যাগে সরকার তাদের দাবি আদায়ে বাধ্য হয়।
শ্রমিকদের এ আত্মত্যাগ চিরস্মরণীয় করে রাখতে ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে দিবসটিকে আন্তর্জাতিক ‘শ্রম দিবস’ বা ‘মে দিবস’ বা ‘লেবার ডে’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সম্মেলনের পরের বছর ১৯৯০ সালের ১ মে থেকে একে ’আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিসব’ হিসেবে পালন করে আসছে বিশ্ববাসী।
মূলত, শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দিবসটি পালন করা হলেও এখনও নিরাপদ কর্মক্ষেত্র ও ন্যায্যা মজুরীর জন্য সংগ্রাম অব্যাহত। বাংলাদেশের শ্রমিকরাও দীর্ঘদিন তাদের ন্যায্যা দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু এর লাভ শুধু এক শ্রেণির খাতায়।
এদিনটির পেছনে আছে মর্মান্তিক এক ইতিহাস। বাংলাদেশের শ্রমিকরাও এবার এ দিনটি পালন করছে মর্মান্তিক ঘটনাকে সঙ্গে নিয়ে।
এবারের মে দিবসের ঠিক এক সপ্তাহ আগে সাভারে রানা প্লাজায় গার্মেন্ট কারখানা ধসে শত শত শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সাভারের তাজরীন ফ্যাশন্সে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে ১১২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। সে ক্ষত শুকাতে না শুকাতেই আবারও এ ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা।
সাভারসহ এখন পুরো দেশজুড়ে এখন লাশ আর শোকের কান্না। শ্রমিকদের ঘরে ঘরে আর্তনাদ। স্বজনহারা অগণিত মানুষের আহাজারিতে দেশের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
মালিক শ্রেণির উদাসীনতা আর মুনাফা লাভের বিবেকহীনতার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে সাভার ট্র্যাজেডি। অসহনীয় বেদনা ও ক্ষোভ নিয়ে শ্রমিকরা পালন করবে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। অধিকারহীনতার মধ্যেই শ্রমিক সংগঠনগুলো বলবে অধিকারের কথা।
মহান মে দিবস উপলক্ষে বুধবার সরকারি ছুটি। সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব তফসিলি ব্যাংক ও কলকারখানা বন্ধ থাকবে। সংবাদপত্র কার্যালয়ে ছুটি থাকায় বৃহস্পতিবার দেশে কোনো সংবাদপত্র প্রকাশ হবে না।
১৮৮৬ সালের এ দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের সহস্রাধিক শ্রমিক দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের অধিকার আদায়ে আন্দোলন শুরু করে। ওদিনে সুচনা হওয়া আন্দোলন চলে ৩ ও ৪ মে পর্যন্ত। শ্রমিকদের মরণপণ আন্দোলনে পুলিশ বাহিনী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা শ্রমিকদের মিছিলে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। এতে নিহত হন ১০ শ্রমিক। আহত হন অনেক।
সেসময় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেন সহস্রাধিক শ্রমিক। আন্দোলন করার অপরাধে সে দেশের সরকার ৬ শ্রমিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। কারাগারেই এক শ্রমিক নেতা আত্মহত্যা করেন। পরবর্তীতে শ্রমিকদের আন্দোলন ও রক্তত্যাগে সরকার তাদের দাবি আদায়ে বাধ্য হয়।
শ্রমিকদের এ আত্মত্যাগ চিরস্মরণীয় করে রাখতে ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে দিবসটিকে আন্তর্জাতিক ‘শ্রম দিবস’ বা ‘মে দিবস’ বা ‘লেবার ডে’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সম্মেলনের পরের বছর ১৯৯০ সালের ১ মে থেকে একে ’আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিসব’ হিসেবে পালন করে আসছে বিশ্ববাসী।
মূলত, শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দিবসটি পালন করা হলেও এখনও নিরাপদ কর্মক্ষেত্র ও ন্যায্যা মজুরীর জন্য সংগ্রাম অব্যাহত। বাংলাদেশের শ্রমিকরাও দীর্ঘদিন তাদের ন্যায্যা দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু এর লাভ শুধু এক শ্রেণির খাতায়।
খবর বিভাগঃ
প্রতিবেদন
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়