কানাইঘাটে ব্রীজের নিচ থেকে যুবকের লাশ
উদ্ধারের ১৩দিন পর হত্যা মামলা হয়েছে। উপজেলার পর্বতপুরের আব্দুল মালিক
২৫মার্চ সোমবার সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২য় আদালতে এ মামলা
করেন। মামলাটি এফ.আই.আর গন্যে আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কানাইঘাট
থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের আদেশে মামলাটি বৃহস্পতিবার
বিকেলে থানায় প্রেরন করা হয়েছে বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে। মামলার আসামীরা
হচ্ছে,সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার রায়পুর গ্রামের মৃত নূরুল হকের পুত্র হবিব
উল্লাহ (৩০), একই উপজেলার বড়বন্দ গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র আলিম উদ্দিন
(২০) ও মুক্তাপুর গ্রামের শাহাব উদ্দিনের পুত্র জাবলু (২০)। ঘটনার পর থেকে
আসামীরা পলাতক রয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, পূর্ব শত্রুতার জের
ধরে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার পর্বতপুরের প্রবাসীর পুত্র আলমাছকে(২৩)
হত্যার পরিকল্পনা করে হবিব উল্লাহ ও জাবলু। পরিকল্পনা মোতাবেক তাদের সহযোগী
আলিম উদ্দিনকে দিয়ে ১৩মার্চ রাতে একটি মোটর সাইকেলে করে আলমাছকে বাড়ির
উদ্দেশ্যে পাঠায়। রাতে বাড়ি না পৌছায় পরিবারের লোকজন খোজ নিতে থাকেন ।
পরদিন তার লাশ রায়পুর ব্রীজের নিচে খাদে পাওয়া যায় । মোটর সাইকেল র্দূঘটনায়
আলমাছ মারা গেছে বলে আরোহী আলিম উদ্দিনসহ আসামীরা জানায়। কিন্তু আরোহী
আলিম উদ্দিন ও মোটর সাইকেল অক্ষত থাকায় লোকজনের সন্দেহ হলে তাদের ধরতে
চাইলে আসামীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এর পর থেকে আলিম উদ্দিন, হাবিব
উল্লাহ ও জাবলু পলাতক রয়েছে। কানাইঘাট থানা পুলিশ প্রাথমিকভাবে সাধারন
ডায়েরীর করে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়না তদন্ত করায়। অজ্ঞাত কারনে থানা
পুলিশ মামলা না নেয়ায় নিহতের চাচা আব্দুল মালিক আদালতে এ মামলা করেন।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়