বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সিসিউতে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে দেখতে দেয়া হয়নি হেফাজতে ইসলামের নেতাদের। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কর্তব্যরত পুলিশ ও কারারক্ষীরা হেফাজত নেতাদের আটকে দেন।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমীর নেতৃত্বে হাসপাতালে যান হেফাজত নেতারা। হেফাজত নেতাদের মধ্যে আরও ছিলেন সংগঠনের ঢাকা মহাগর যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, সদস্য সচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, প্রচার সেলের প্রধান মুফতি আহলুল্লাহ ওয়াসেল, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা শফিক উদ্দিন, মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মাওলানা বশির মিসবাহ প্রমুখ।
তারা মাহমুদুর রহমানকে দেখতে চাইলে সেখানে দায়িত্বরত কারাগারের হাবিলদার সিরাজ এগিয়ে আসেন। উর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে বলে তিনি বাধা দেন হেফাজত নেতাদের।
এ সময় মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী কারারক্ষীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এটা একটা মানবিক বিষয়। আমরা মাহমুদুর রহমানকে দেখতে চাই। এ বিষয়ে উধ্র্বতন কারো অনুমতি নিতে হলে আপনারা সে ব্যবস্থা করেন।’
হেফাজতের ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফি পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি মাহমুদুর রহমানের অবস্থা অবনতির দিকে। এখন ইমার্জেন্সি পিরিয়ড চলছে। তাই ইমার্জেন্সিভাবেই তার সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করা উচিত। এ ব্যবস্থা আপনাদেরকেই করতে হবে।’
পরে হাবিলদার সিরাজ উধ্র্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে সিসিইউ’র ভেতরে চলে যান। কিছুক্ষণ পরে শাহবাগ থানার এএসআই নেছার উদ্দীন এসে হেফাজত নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি মোবাইল ফোনে শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে হেফাজতের ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীবের কথা বলিয়ে দেন।
তারপর একই ফোনে মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফীও কথা বলেন। তিনি ওসিকে বলেন, ‘মাহমুদুর রহমানের অবস্থা সংকটাপন্ন। তার কিছু হলে এর দায় দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে।’
প্রায় ১০ মিনিট ধরে ওসির সঙ্গে কথা হলেও অনুমতি পায়নি হেফাজত নেতারা।
দেখা করতে না পেরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাহমুদুর রহমানের অনশন ভাঙানোর জন্য আমরা আশা নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু আমাদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এটা অমানবিক। এতে আমরা ক্ষুব্ধ হয়েছি।’
পুলিশের শাহবাগ থানার এএসআই নেছার উদ্দীন বলেন, ‘কারা হেফাজতে থাকা কাউকে দেখতে হলে কারা সুপার কিংবা উধ্র্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগে। তারা অনুমতি নিয়ে আসেননি বলে আইনগত কারণে আমরা দেখতে দিতে পারেনি।’
খবর বিভাগঃ
বিশেষ খবর
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়