পুলিশকে সহায়তা করে হত্যা মামলার ২আসামীকে ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে কানাইঘাট ৮নং ঝিংগাবাড়ি ইউনিয়ন
পরিষদের ইউপি সদস্য শরিফা বেগমের পুত্র লোকমান আহমদ চৌধুরী (২২) কে গত ১৭এপ্রিল বন্দি রেখে পিঠিয়ে গুরুতর আহতদের ঘটনায় কানাইঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইউপি সদস্যা শরিফা বেগম (৪০) বাদী হয়ে এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার থানায় একই গ্রামের ৪ জনকে আসামী করে মামলা করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, প্রায় দু’মাস পূর্বে কানাইঘাট থানা পুলিশ শরিফা বেগমের পার্শ্ববর্তী নছির আহমদের বাড়ি থেকে একটি হত্যা মামলার পালিয়ে থাকা বীরদল

গ্রামের আব্দল কুদ্দুস (৫৫) ও তার স্ত্রী বদরুন নেছা (৪০) গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার আসামী আব্দুল কুদ্দুস ও বদরুন নেছাকে ইউপি সদস্যা শরিফা বেগম পুলিশকে দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছেন অভিযোগ এনে নছির আহমদের স্বজনরা দেখে নেবার হুমকি দেয়। গত বুধবার ইউপি সদস্যা শরিফা বেগমের পুত্র লোকমান আহমদ চৌধুরী রাত সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি থেকে বের হলে পার্শ্ববর্তী রাস্তায় নছির আহমদ ও তার ভাই মঞ্জুর আহমদ গংরা ধরে নিয়ে তাদের বাড়ীতে আটক রেখে নির্যাতন করে নগদ ৫৫ হাজার টাকা একটি মোবাইল সেট রেখে দিয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে ছেড়ে দেয়। শারিরীকভাবে নির্যাতনের শিকার লোকমান আহমদ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বৃস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এ ব্যাপারে ঝিংঙ্গাবাড়ী ইউপির চেয়ারম্যান রফিক আহমদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইউপি সদস্যার ছেলের উপর যে নির্যাতন করা হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। বিষয়টি সামাজিকভাবে নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান। ইউপি সদস্যা শরিফা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, হত্যা মামলার আসামী ধরিয়ে দেওয়ার মিথ্যে অভিযোগের কারনে আমার ছেলের উপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।
খবর বিভাগঃ
feature
news
কানাইঘাট
রাজনীতি
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়