Sunday, November 4

জেল হত্যা: আপিল শুনানি ১১ ডিসেম্বর

জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলায় হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানির জন্য ১১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছে আপিল বিভাগ।
রোববার প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ শুনানির এই দিন ধার্য করে।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রাষ্ট্রপক্ষে শুনানির দিন ধার্য করতে আদালতে আবেদন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
পরে আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, �আপিল বিভাগ এই মামলার চূড়ান্ত শুনানির জন্য আগামী ১১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছে। আশা করি, ওইদিন আমরা শুনানি করতে পারব।�
আপিলের অনুমতি পাওয়ার এক বছর আট মাস পর আলোচিত জেল হত্যা মামলায় আপিলের সংক্ষিপ্তসার গত বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে জমা দেয় রাষ্ট্রপক্ষ।
অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড সুফিয়া খাতুন সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় নথিপত্র জমা দেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এর মধ্য দিয়ে মামলাটি আপিল বিভাগে চূড়ান্ত শুনানির জন্য প্রস্তুত হলো।
২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আবেদন মঞ্জুর করে।
আদেশে নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত তবে হাই কোর্টের রায়ে খালাস পাওয়া দফাদার মারফত আলী শাহ ও এল ডি (দফাদার) আবুল হাসেম মৃধাকে অবিলম্বে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়। আত্মসমর্পণ না করলে তাদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেয়া হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে
আনিসুল হক বুধবার বলেন, পলাতক থাকায় পুলিশ ওই দুই জনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তারা যদি আত্মসমর্পণ না করে তাহলে আপিল বিভাগের শুনানিতে আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারবে না। সেক্ষেত্রে তাদের আইনজীবী ছাড়াই আপিল বিভাগে শুনানি চালিয়ে নিতে আইনি কোনো বাধা থাকবে না।
ওই ঘটনায় মামলা দায়েরের ২৩ বছর পর ১৯৯৮ সালের ১৫ অক্টোবর ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. মতিউর রহমান রায় দেন। রায়ে রিসালদার মোসলেম উদ্দিন (পলাতক), দফাদার মারফত আলী শাহ (পলাতক) ও এল ডি (দফাদার) আবুল হাসেম মৃধাকে (পলাতক) মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা, একেএম মহিউদ্দিন আহমেদসহ ১২ জনের। খালাস পান বিএনপি নেতা কেএম ওবায়দুর রহমান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, নুরুল ইসলাম মঞ্জুর ও তাহেরউদ্দিন ঠাকুর।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হলে হাই কোর্ট ২০০৮ সালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি মারফত আলী ও হাশেম মৃধাকে অব্যাহতি দেয়। রায়ে মোসলেমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফারুক, শাহরিয়ার রশিদ, বজলুল হুদা ও একেএম মহিউদ্দিন আহমেদকেও খালাস দেয় হাই কোর্ট।
হাই কোর্টের রায়ে আট সেনা কমকর্তার সাজা বহাল রাখা হয়। এরা হলেন- খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এমএইচএম বি নূর চৌধুরী, এএম রাশেদ চৌধুরী, আহমদ শরিফুল হোসেন, আবদুল মাজেদ, মো. কিসমত হোসেন ও নাজমুল হোসেন আনসর।
কিন্তু এই বিচার সঠিকভাবে হয়নি- এমন অভিযোগ করে চার নেতার পরিবারের সদস্যরা রায় পুনর্বিচার দাবি জানান। সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীও পুনর্বিচারের কথা বলেন। তবে বিচারকাজ বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কায় ওই অবস্থান থেকে সরে আসে সরকার।
বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন (লিভ টু আপিল) করা হয়। ফেয়ার নিউজ


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়