কানাইঘাট পৌরসভার নিজ চাউরা দক্ষিণ গ্রামে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার আপন ভাই ও ভাতিজার লাঠির আঘাতে আহত ৭০ বছরের বৃদ্ধা আজিজুল হক আজ শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট ওমেক হাসপাতালে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কানাইঘাট থানা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে মৃত্যুবরণকারী আজিজুল হকের ভাতিজা বশির আহমদ (৫০) কে আজ নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করেছে। মামলার এজাহারে জানা যায়, নিহত আজিজুল হকের সাথে তার আপন ভাই আব্দুল হক (৬০), ভাতিজা বশির আহমদ গংদের মধ্যে জমি-জমা ও বাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বৃদ্ধ আজিজুল হক বাড়ীর পাশে ফরিদ উদ্দিনের মুদির দোকানে বসা অবস্থায় ভাই আব্দুল হক, ভাতিজা বশির আহমদ ও তার পুত্র জাকারিয়া (২২) জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে আজিজুল হকের সাথে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে আজিজুল হককে তারা মারধর করলে তিনি মাটিতে অজ্ঞান অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। পরে তার আত্মীয় স্বজনরা সাথে সাথে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে নিয়ে আসলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসকগণ আজিজুল হকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সিলেট ওমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ৯টার দিকে মারা যান আজিজুল হক। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে হারুন রশিদ বাদী হয়ে থানায় চাচা আব্দুল হক, চাচাতো ভাই বশির আহমদ, ভাতিজা জাকারিয়াকে আসামী করে আজ শুক্রবার হত্যা মামলা দায়ের করলে থানার এসআই মাসুদ পারভেজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বশির আহমদকে গ্রেফতার করেন। থানার হত্যা মামলা নং-(২২)/২৩/১১/১২ইং। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাইর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্থানীয় সংবাদিকদের বলেন, জমি সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। আজিজুল হকের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর হত্যার প্রকৃত আলামত পাওয়া যাবে। এদিকে মামলার আসামীর আত্মীয়-স্বজনরা জানিয়েছেন বাধর্ক্যজনিত কারনে আজিজুল হক দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ কথা কাটাকাটির জের নিয়ে স্ট্রোক করে অসুস্থ অবস্থায় তিনি হাসপাতালে মারা গেছেন। তাকে নির্যাতন করা হয়নি।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়