Sunday, October 14

আন্দোলন সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য নতুন গ্রেনেড গ্যাস আনা হচ্ছে

পুলিশের জন্যে বাংলাদেশ সরকার টিয়ার গ্রেনেড বা গ্রেনেড গ্যাস নামে নতুন এক অস্ত্র আনছে। অস্ত্রটি সন্ত্রাসিদের জন্য নয়, ব্যবহার হবে আন্দোলন দমন কিংবা সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার কাজে। টিয়ার সেল এবং রাবার বুলেটের পাশাপাশি নতুন এই অস্ত্রটি ব্যবহার করা হবে।

প্রতিরোধমূলক অন্যান্য অস্ত্র-সরঞ্জাম এর সাথে আগামী নভেম্বরের মধ্যেই এই নতুন অস্ত্রটি বাংলাদেশ পুলিশের হাতে আসবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, প্রায় দুই কোটি টাকার টিয়ার শেল এবং রাবার বুলেট এর সাথে বিপুল পরিমান গ্রেনেড গ্যাস থাকছে। এর মধ্যে রয়েছে, ২০ হাজার টিয়ার শেল এবং ৫০ হাজার রাউন্ড রাবার বুলেট। তবে গ্রেনেড গ্যাস বাংলাদেশ পুলিশের কাছে একেবারেই নতুন। এর আগে তারা কখনো এটা ব্যবহার করেনি। সহিংস আন্দোলন কিংবা ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম রোধে পুলিশ এটা গ্রেনেডের মতই ছুঁড়ে মারবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।

পুলিশ হেড কোয়ার্টার সূত্র জানায়, নতুন এ চালানে প্রতিটি টিয়ার শেলের দাম প্রায় ৭০০ টাকা করে মোট ২০ হাজার শেল কিনতে খরচ হচ্ছে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। একটি রাবার বুলেটের দাম ৮০ থেকে ৯০ টাকা করে ৫০ হাজার রাবার বুলেট কিনতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা।

গোলা-বারুদের চাহিদা জানিয়ে প্রায় দেড় বছর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এতে সম্মতি দিয়ে গত বছরের মে মাসে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়। চিঠিতে পুলিশের বার্ষিক বাজেট থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা ছাঙ করার জন্য সুপারিশ করা হয়।

পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট এবং গ্রেনেড গ্যাস আগামী ১ মাসের মধ্যে পুলিশের হাতে পৌঁছাবে। যে কোন গণজমায়েত ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেলের বিকল্প নেই। বর্তমানে পুলিশের হাতে মজুদ শেলের পরিমান খুবই কম। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালুসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আগামী দিনে বিরোধী দলগুলোর জ্বালাও-পোঙাও আন্দোলন আরও তীব্র হতে পারে। এ কারণেই অতিরিক্ত টিয়ার শেল এবং রাবার বুলেট আমদানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এর আগে ইতালি এবং আমেরিকা থেকে আনা টিয়ার শেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকায় সেগুলো ধ্বংস করে ফেলা হয়েছিল।

এ বিষয়ে পুলিশ হেড কোয়ার্টারের এআইজি শফিকুল ইসলাম বলেন, নিয়মিত কেনাকাটার অংশ হিসেবেই টিয়ার শেল, রাবার বুলেট, গ্রেনেড গ্যাস, গুলি, বুলেটপ্র�ফ জ্যাকেট এবং গাডড় কেনা হচ্ছে। বাজেট না থাকায় গতবছর টিয়ার শেল এবং রাবার বুলেট কেনা যায়নি। টিয়ার শেল, রাবার বুলেট এবং গ্রেনেড গ্যাস কোন দেশ থেকে আনা হচ্ছে জানতে চাইলে এআইজি বলেন, আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে এগুলো সাধারণত চীন, কোরিয়া, আমেরিকা এবং তুরস্ক থেকে আমদানি করা হয়। ফেয়ার নিউজ




শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়