কানাইঘাটে বিয়ে পাগল মুফতি নামধারী সেই প্রতারক মৌলভী আজমল হোসেন খানকে কানাইঘাট থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। হতদরিদ্র ঘরের এক তরুণীকে বিয়ের ফাঁদে ফেলে একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় থানার ওসি (তদন্ত) শেখ মহসিন আলম গত শনিবার বিকেল ৫টায় স্থানীয় সড়কের বাজার থেকে আজমল হোসেন খানকে গ্রেফতার করে গতকাল আদালতে সোপর্দ করেছেন। অপর দিকে মৌলভী আজমল হোসেন খান কর্তৃক প্রতারণার শিকার তরুণী শামীম বেগম (১৮) কে পুলিশ হেফাজতে গতকাল সিলেট ওমেক হাসপাতালে ওসিসি ইউনিটে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। থানা পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, উপজেলার ৩নং দিঘীরপার ইউনিয়নের কঠালপুর গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের পুত্র বিয়ে পাগল আজমল হোসেন খান (৬৫) পার্শ্ববর্তী ৪নং সাঁতবাক ইউপি’র পশ্চিম জুলাই দলইমাটি গ্রামের হত দরিদ্র সিরাজ উদ্দিনের মেয়ে শামীমা বেগমকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে তাঁর সহযোগীদের দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন। গত ৬জুন ৪ল টাকা দেনমোহরনা ধার্য্য করে আজমল হোসেন খানের সাথে শামীমা বেগমের বিবাহ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সম্পন্ন হলেও চতুর মৌলভী আজমল হোসেন খান স্থানীয় কাজীর মা মারাগেছেন অযুহাতে ঐদিন কাবিননামা রেজিষ্টেশন করেন নাই। পরবর্তীতে শামীমা বেগমকে আজমল মৌলভী তার বাড়ীতে উঠিয়ে নিবেন এবং কাবিননামা সম্পাদন করবেন আশ্বাস দিয়ে শামীমার পিত্রালয়ে বেশ কয়েকদিন তিনি নব বধূকে নিয়ে রাত্রি যাপন করেন। এক পর্যায়ে বিয়ের বিষয়টি আজমল হোসেন খাঁন অস্বীকার করে দরিদ্র শামীমার পিতা সিরাজ উদ্দিন ও পরিবারের সদস্যদের বিবাহের বিষয়টি কাউকে অবহিত করা হলে প্রাণে মারার হুমকি এবং নানা ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। ফতুয়াবাজ বহু বিবাহের নায়ক প্রতারক মুক্তি নামধারী প্রভাবশালী আজমল মৌলভীর ধারা প্রতারিত হয়ে শামীমা বেগম প্রথমে বাদী হয়ে জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে আজমল হোসেন খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সরেজমিনে তদন্ত করে কানাইঘাট থানা পুলিশ অভিযোগের সত্যতা পান। পরবর্তীতে গত ০৬ অক্টোবর শামীমা বেগম বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় আজমল হোসেন খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ প্রতারণা ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ এনে তাঁর আরো দু’সহযোগী মৌলভী মকবুল হোসেন (৭০) বশির মিয়া (৬২) বিরুদ্ধে মামলা করেন। থানার ওসি আব্দুল হাই ঐদিনই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি রেকর্ড করেন। থানার মামলা নং- (১১) তাং- ০৬-১০-১২ইং। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন গ্রেফতারকৃত আজমল হোসেন খান মুফতি ডিগ্রি ব্যবহার করে এলাকায় বিয়ে সাদি এবং ধর্মীয় সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের ফতোয়া টাকার মাধ্যমে দিয়ে থাকেন। তিনি প্রতারনার মাধ্যমে এলাকায় এবং সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় একাধিক বিয়ে করেছেন এমনও অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়