কুটনৈতিক প্রক্রিয়া এবং অব্যাহত যোগাযোগ রক্ষার মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত পদ্মা সেতুর জট খুললো। বিশ্ব ব্যাংক রাজী হলো অর্থায়নে। চলতি মাসের প্রথম অংশেও বোঝা যায়নি যে বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুর জন্য অর্থায়ন করবে। গত ১২সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, �অর্থায়নে অসুবিধা হলে নিজস্ব অর্থে দ্রুত কাজ শুরু করতে শুধু গাড়ী চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। একথাগুলো তিনি জাতীয় সংসদে অধিবেশন চলাকালে বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের হাতে দুটি ডিজাইন আছে। আমরা দেশে নতুন একটা কিছু করতে চেয়েছিলাম । একটি ডাবল ডেকার, যার উপর দিয়ে গাড়ী ও নীচ দিয়ে রেল চলার কথা । আরেকটি শুধু গাড়ী চলার জন্য। আমি সেতু বিভাগের সাথে কথা বলেছি। যদি অর্থায়নে অসুবিধা হয়, তাহলে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে দ্রুত কাজ শুরু করতে গাড়ী চলাচলের জন্য সেতু নির্মাণ করবো। পদ্মা নদী অত্যন্ত খরস্রোতা। শীতকাল ছাড়া এখানে কাজ করা যাবেনা। তাই শীতে নদী খননওশাসনের প্রস্তুতি য়ো হচ্ছে।� প্রধান মন্ত্রীর এই বক্তব্য থেকে এ কথা স্পষ্ট যে, একথা বলার সময় পর্যন্ত তিনি জানতেন না বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে আদৌ অর্থ দেবে কিনা। তবে চেষ্টা অব্যাহত ছিল। প্রধানমন্ত্রীর দুইজন উপদেষ্টাসহ অন্যান্যরা কুটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছিলেন দেশের বাইরে। বিশ্ব ব্যাংক যেসব শর্ত দিয়েছিল তা মানতে সৈয়দ আবুল হোসেন এবং তার সচিবকে বিদায় দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মশিউর রহমানকেও কাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। তাই বলা যায় , বিশ্বব্যাংকের শর্ত মেনেই পদ্মা সেতুর জট খুললো সরকার। এদিকে, পদ্মা সেতু নিয়ে সদা সরগরম বিএনপি সরকারের সমালোচনা থেকে কিছুটা সরে এসেছে। বর্তমান সরকারের আমলে পদ্মা সেতু না হলে এনিয়ে বিরোধীদল সুযোগ পেত জনগনকে তাদের পক্ষে নিতে। যদি বর্তমান সরকারের আমলে পদ্মা সেতরু কাজ শুরু হয় , তবে সেই সুযোগটা বিরোধী দল হারাল। দেশের এত প্রয়োজনীয় এই সেতুটি বর্তমান সরকারের আমলে হোক তা বিরোধী দল কামনা করেনি, এটা তাদের এত দিনের কথায় স্পষ্ট। দেশের প্রয়োজন থেকে নিজেদের ক্ষমতার পথ তৈরি করা তাদের জন্য বেশী প্রয়োজনীয় , এটাই বারবার প্রমানিত হয়েছে। যেখানে দাতারা কোন টাকাই দেয়নি সেখানে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থ লোপাট হলো কি করে কে জানে। তবে আবুল ভাল লোক নন। সেই বঙ্গবন্ধুর আমলে কসকরে কাজ করা অবস্থায় তিনি দূর্নীতিতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন। এই রোগের তিনি এক চিহ্নিত রোগী। তার মত লোক বড় দায়িত্বে থাকা দেশের জন্য এবং জনগনের জন্য সুখকর নয়। আবার একথাও ঠিক যে, বিএনপি চায পদ্মা সেতু হোক। তবে বর্তমান আওয়ামী লীগ-মহাজোট সরকার আমলে তা হোক তারা তা মনে প্রাণে চায়নি। এবিষয়টি তাদের গত দুই বছরের কথা ও কাজে বোঝা গেছে। আর আগামীতে ভোটে জয়লাভের জন্য যেভাবেই হোক সরকার চেয়েছে তাদের আমলে পদ্মাসেতুর কাজটা অন্তত: শুরু হোক। তবে এই যুদ্ধে মহাজোট সরকার কিছুটা হলেও এগিয়ে গেল। বিএনপির নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রাভঙ্গ নাটক এবার আর সফল মঞ্চায়ন হলো না। এফএনএস,শেখর দাশগুপ্ত । ফেয়ার নিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়