Thursday, September 27

::কানাইঘাটে ছাত্রলীগের দু"গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ!আহত ১০::

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কানাইঘাট ছাত্রলীগের বিবদমান সিলেট টিলাগড় এবং তালতলাস্থ গ্রুপ সমর্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে  আজ মুখোমুখী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত ছাত্রলীগ নেতা ডালিম ও মারুফ আহমদকে সিলেট ওমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রত্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কানাইঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক টিলাগড় গ্রুপ সমর্থিত গিয়াস উদ্দিন এবং তালতলা গ্রুপ সমর্থিত উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল ইসলাম হারুন সমর্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উত্তেজনা চলে আসছিল। আজ দুপুর ১২টায় টিলাগড় গ্রুপের ছাত্রলীগ নেতা ডালিম আহমদ কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে গেলে তালতলা গ্রুপ সমর্থিত ছাত্রলীগ নেতা মারুফ আহমদের সাথে কথা কাটাকাটির জের ধরে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে নাজমুল ইসলাম হারুন সমর্থিত নেতাকর্মীরা ডালিম আহমদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এ সংবাদ গিয়াস সমর্থিত টিলাগড় গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বেলা ১টায় টিলাগড় সমর্থিত নেতাকর্মীরা সশস্ত্র অবস্থায় রামিজা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সম্মুখে জড়ো হয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। অপর দিকে তালতলা সমর্থিত নেতাকর্মীরা মনসুরিয়া মাদ্রাসা পয়েন্টে সশস্ত্র অবস্থান নিলে উভয় গ্রুপের মধ্যে মারাত্মক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বেলা দেড়টায় উভয় গ্রুপ মনসুরিয়া মাদ্রাসা পয়েন্টে মুখামুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল, লাঠি-সোটা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন ছাত্রলীগ কর্মী ফরহাদ, মারুফ, জাহাঙ্গীর, কাওছার, সাজু, রুবেল, মারুফ আহমদসহ ছাত্রলীগের আরো কয়েক কর্মী। আহতদের কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলেও উভয় গ্রুপের মারমুখী অস্ত্রের মহড়ায় পুলিশ অসহায় ছিল। এ সংঘর্ষের জের ধরে উপজেলা সদরে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় এ নিয়ে বড় ধরণের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়