মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কানাইঘাটের এক তরুণীকে গত মঙ্গলবার রাতে অজানার উদ্দেশ্যে পালিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন এক সন্তানের জনক প্রেমিক আমিনুল ইসলাম (২৮) কে আটক করে পরদিন কানাইঘাট থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন। বর্তমানে প্রেমিক বেছাড়া শ্রীঘরে হাজতবাস কাটছে। জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর ছয়ঘর পাড়া গ্রামের বিবাহিত আমিনুল ইসলাম (২৮) মোবাইল ফোনের মিসকলের সূত্রধরে ৭মাস পূর্বে কানাইঘাট পৌরসভার নিজ চাউরা উত্তর গ্রামের আব্দুল ওয়াহিদের অবিবাহিত মেয়ে পারভীন বেগম (১৯) এর সাথে পরিচয় থেকে সম্পর্ক হয়। পরবর্তীতে উভয়ের মধ্যে ফোনালাপের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আমিনুল ইসলাম তার বিবাহের বিষয়টি গোপন রেখে প্রেমিকা পারভীন বেগমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। সে বিভিন্ন সময় পারভীন বেগমকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে সিলেটের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে নিয়ে রাত্রীযাপন করে। গত মঙ্গলবার রাত অনুমান ৯টায় প্রেমিক আমিনুল ইসলাম পারভীন বেগমকে তার বাড়ী থেকে রাতের আধাঁরে পালিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় টের পেয়ে পারভীন বেগমের আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয় লোকজন প্রেমিক আমিনুল ইসলামকে আটক করেন। প্রেমিক জুটি একে অপরকে ভালবাসে বিষয়টি তারা উপস্থিত লোকজনকে অবহিত করলে পরদিন বুধবার বেলা ২টায় বিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রেমিক জুটিকে কানাইঘাট পৌরসভার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। যথারীতি বিয়ে পড়ানোর উদ্দেশ্যে কাজীও উপস্থিত হন। পৌর মেয়র লুৎফুর রহমান বিষয়টি আমিনুল ইসলামের পরিবারকে অবহিত করলে তার পিতা দুদু মিয়া মেয়র অফিসে উপস্থিত হন। এক পর্যায়ে আমিনুল ইসলামের শ্বশুড় উপস্থিত হয়ে সে বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক তাকে পুনরায় বিয়ে দেওয়া হলে তার মেয়ে গলায় দাঁ দিয়ে আত্মহত্যা করবে এমন হুমকি দিলে প্রেমিক জুটির বিয়ের অনুষ্ঠান পন্ড হয়ে যায় এবং তাদের থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইজ্জতহরণের অভিযোগ এনে গত বুধবার পারভীন বেগম বাদী হয়ে থানায় আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ গতকাল প্রেমিক আমিনুল ইসলামকে আদালতে সোপর্দ করে এবং প্রেমিকা পারভীন বেগমকে ডাক্তারী পরীার জন্য পুলিশ হেফাজতে সিলেট ওমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়