Wednesday, August 1

আজ থেকে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ শুরু

আজ বুধবার থেকে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০১২ শুরু হয়েছে। আজ সকাল ১১টায় ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উদ্বোধন করেছেন। শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করাতে উদ্বুদ্ধ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে ২০১০ সাল থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে ১ থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে। বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহে এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, �সবার জানা কথাগুলো বলতে হবে আবার, মায়ের দুধই সকল শিশুর সবচে ভালো খাবার।� এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন করতে সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন।রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বুকের দুধের উপকারিতা সম্পর্কে অপ্রতুল জ্ঞান ও অজ্ঞতার কারণে বাংলাদেশে দেশে বহু শিশু মায়ের দুধ পান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সুস্থ শিশুই সুস্থ-সবল জাতি গঠনের প্রাথমিক ধাপ। বুকের দুধ শিশুর অমৃত সুধা, জীবন সঞ্জীবনী। শিশুকে মায়ের দুধ পান করানোর জন্য মাকে সহযোগিতা করা পরিবারের সকলেরই দায়িত্ব।রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, অজ্ঞতার শিশুকে মাতৃদুগ্ধ থেকে বঞ্চিত করায় দেশের শিশুর অপুষ্টিজনিত বিভিন্ন রোগ ব্যাধি ও শিশুর মৃত্যুর হার বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ।তিনি বলেন, ৬ মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ পান এবং ৬ মাস বয়সের পর থেকে বুকের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি পরিপূরক খাবার একটি শিশুর সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার ভিত্তি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যদিও বর্তমানে শুধুমাত্র মায়ের দুধ পানের হার যথেষ্ট পরিমাণে বেড়েছে তা সত্ত্বেও এ অবস্থার আরো উন্নতির প্রয়োজন।রাষ্ট্রপতি বলেন, �বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের এ আয়োজন মাতৃদুগ্ধ পানে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস।�প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে শিশুর মাতৃদুগ্ধ পান ও পুষ্টিগত অবস্থার উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।তিনি এ সপ্তাহের কর্মসূচির সাফল্য কামনা করে বলেন, বর্তমান সরকার মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টির উন্নয়নে সর্বস্তরে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন করে আসছে।তিনি বলেন, একটি শিশুর সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য মায়ের দুধের কোন বিকল্প নেই। মায়ের দুধে শিশুর পরিপূর্ণ পুষ্টি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও শারীরিক বিকাশের উপাদান যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যমান থাকে। তাই সকল শিশুকে জন্মের প্রথম ঘণ্টা থেকে শুরু করে ৬ মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ এবং এর পরে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি উপযুক্ত বাড়তি খাবার খাওয়াতে হবে। মায়ের দুধ খাওয়ানো দুই বছর পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে।শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাসে উন্নীত করেছে। সরকারি-বেসরকারি অফিসে ব্রেস্টফিডিং কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। মাতৃত্বকালীন কর্মসূচির আওতায় ভাতাভোগীর সংখ্যা ও ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে।তিনি বলেন, এছাড়া কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল থেকে কর্মজীবী মায়েদের ভাতা দেয়া হচ্ছে। মাতৃদুগ্ধ পান কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সারাদেশে ১১ হাজার কম্যুনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। এ সকল কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। খবর:-ফেয়ার নিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়