আগামী ১৫ বছরের জন্য গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এবং সিটিসেল অপারেটকে টু-জি লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আজ মঙ্গলবার বিটিআরসি কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু ৪ মোবাইল ফোন অপারেটরের প্রতিনিধিদের হাতে নবায়নকৃত লাইসেন্স তুলে দেন।এ সময় মন্ত্রী বলেন, লাইসেন্স নবায়নের এই দিনের মাধ্যমে বিটিআরসি ও অপারেটরদের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন সৃষ্টি হলো। আর ভবিষ্যতে অপারেটর ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থার মধ্যে যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।এছাড়া আগামীতে এ ৪টি অপারেটরকে ত্রি-জি লাইসেন্স দেয়ার জন্য বিটিআরসিকে অনুরোধ জানান টেলিযোগাযোগমন্ত্রী।টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, টু-জি লাইসেন্স নবায়নের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে যে বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত জায়গা। আর এ সেক্টরে যেন আরো বিদেশি বিনিয়োগ হয় সে উদ্যোগও নিতে হবে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে এ খাতের বিরাজমান সমস্যা কাটিয়ে উঠে টেলিযোগাযোগ খাতের বাড়তি সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানান।মোবাইল ফোন অপারেটর প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা বলেন, আর্থিক হিসাব ও নিয়ম নীতির বিষয়ে অপারেটর ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে বিরাজমান মতপার্থক্য নিরসন করা দরকার।দেশের ৬ মোবাইল অপারেটরের মধ্যে গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এবং সিটিসেলের টু-জি লাইসেন্সের মেয়াদ ২০১১ সালের নভেম্বরে শেষ হয়। ওই সময় লাইসেন্স নবায়নে মোবাইল অপারেটরেরা প্রথম কিস্তির ৪৯% হিসেবে ৩ হাজার ১৮৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা জমা দেয়। এতে ভ্যাট ও মার্কেট কম্পিটিশন ফ্যাক্টর (এমসিএফ) বাবদ ৭৮৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা কেটে রাখে ৪ মোবাইল অপারেটর। পরে এ নিয়ে অপারেটরদের সঙ্গে বিটিআরসির মতবিরোধের কারণে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।এরপর লাইসেন্স ছাড়াই অপারেটরেরা এতোদিন নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। অপারেটররা দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ২৯% দিয়েছে। আর শেষ কিস্তি ২২% ২০১৩ সালে দিতে হবে।লাইসেন্স নবায়নের জন্য এবার ৪ অপারেটরকে সব মিলিয়ে প্রায় ৭ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা ফি দিতে হচ্ছে।অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়া আহমেদ, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টোরে জনসন, রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ক্যুনার, বাংলালিংকের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার (সিটিও) আহমেদ ফাদি এবং সিটিসেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহবুব চৌধুরী এবং বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। খবর:-ফেয়ার নি্উজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়