Sunday, August 26

ট্রাইব্যুনালে মুজাহিদের পক্ষে ১৩১৫ জন সাক্ষী

একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে গ্রেপ্তার জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাংবাদিক লেখক শাহরিয়ার কবীর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ সাক্ষ্য দিয়েছেন।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে এর জন্য জামায়াত ও এর সহযোগী সংঠনগুলোকে দায়ী করে তাদের বিচার দাবি করেন তিনি।
রোববার তার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল। পরে তার জেরা শুরু হয়। জামায়াতের আইনজীবী নজরুল ইসলাম তাকে জেরা করেন। একপর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল আগামী ৩০ আগস্ট পরবর্তী জেরার তারিখ নির্ধারণ করেন। এসময় জামায়াতের আইনজীবীরা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের পক্ষে সাক্ষীর তালিকা উপস্থাপন করেন। এই তালিকায় ১৩১৫ জন সাক্ষী রাখা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরই শাহরিয়ার কবীরের সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, আমরা শনিবার রাতে জেনেছি শাহরিয়ার কবীর সাক্ষ্য দেবেন। তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তাকে জেরা করার জন্য আমরা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে পারিনি।
প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল বলেন, শাহরিয়ার কবীরের সাক্ষ্য দেবেন বলে গত ৫ আগস্ট জামায়াতের আইনজীবীদের জানানো হয়েছে। ১৮ জুলাই ৫জন সাক্ষীর নামে সমন দেওয়ার পর বিষয়টি তাদের জানানো হয়েছে।
পরে ট্রাইব্যুন্যাল সাক্ষ্য গ্রহণের অনুমতি দিলে শাহরিয়ার কবীর সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন ।
গত ১৯ জুলাই মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক মুজাহিদের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই দিন বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে দুই বিচারপতির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ আগামী ২৬ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক সিরাজউদ্দীন হোসেন অপহরণের ঘটনায় আল বদর প্রধান হিসেবে জামায়াত নেতা মুজাহিদের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নাখালপাড়ার পুরোনো এমপি হোস্টেলে পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্পে আটক মুক্তিযোদ্ধা বদি, রুমি, সুরকার আলতাফ মাহমুদ প্রমুখকে হত্যার প্ররোচনায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এ মামলায় মুজাহিদকে ২০১০ সালের ২ অক্টোবর গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। তবে ট্রাইব্যুনাল সেটি সুবিন্যস্ত করে পুনর্দাখিলের নির্দেশ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি অভিযোগ আবার দাখিল করা হয়। ২৪ এপ্রিল মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হয়। খবর;-ফেয়ার নিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়