২০০৪ সালের ৭ মে নিজ বাসভবনের সামনে টঙ্গী পৌর ১০ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ওয়ার্ডের কমিটি ঘোষণাকালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার। এসময় স্কুল ছাত্র রতন নিহত ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান মহলসহ আরও ১০-১২ জন আহত হন।
এ মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যাপারে সরকার ও বাদী পক্ষের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাদী পক্ষের অনাস্থা আবেদনের কারণে এ পর্যন্ত হাইকোর্টের ৮টি বেঞ্চ পরিবর্তন হয়েছে। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এ হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম। এ মামলায় দীর্ঘদিন যাবত কারাগারে আটক আসামিদের আত্মীয়স্বজন দ্রুত মামলাটি নিষ্পত্তির দাবি জানিয়েছেন। তারা কারাগারে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল নিম্ন আদালতে রায়ের পর হত্যা মামলার আপিলটি এভাবে হাইকোর্টে ৭ বছর ঝুলে রয়েছে।
দলীয় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহসান উল্লাহ মাস্টার নিহত হন মর্মে পরদিন সরকার প্রেসনোট জারি করে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এরশাদের ছেলে খ্যাত জাতীয় ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম দীপুকে প্রধান আসামি করে আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছোট ভাই মতিউর রহমান পরদিন টঙ্গী থানায় ১৭ জনকে এজাহারভুক্ত করে একটি হত্যা মামলা নং- ৭(৫)২০০৪ দায়ের করেন। মামলায় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিরোধের অংশ হিসেবে যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় শিল্পবিষয়ক সম্পাদক নূরুল ইসলাম সরকারসহ বিএনপির স্থানীয় অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
২০০৫ সালে প্রধান আসামি নূরুল ইসলাম দীপু ও হুকুমের আসামি নূরুল ইসলাম সরকারসহ মোট ২২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। স্মরণকালের ইতিহাসে একসঙ্গে এত আসামির ফাঁসির আদেশের নজির নেই। আসামিদের অধিকাংশই ছিল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও এরশাদের জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠন জাতীয় ছাত্রসমাজের নেতা-কর্মী। এছাড়া মামলায় বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত মোট ৫ আসামির মধ্যে ২ জনের ফাঁসি ও ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয়। বর্তমানে নূরুল ইসলাম সরকারসহ ১৬ জন কারাগারে এবং প্রধান আসামি নূরুল ইসলাম দীপুসহ ১০ জন পলাতক রয়েছে।
১২ কার্য দিবসে ১৯ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত ১৬ জানুয়ারি বাদী এই বেঞ্চকেও অনাস্থা জানিয়ে বসেন। এ অবস্থায় আপিলটির নথি বর্তমানে প্রধান বিচারপতির দফতরে রয়েছে। মামলা পরিচালনায় বাদী পক্ষের এ ধরনের অসহযোগিতার ফলে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলাটি নিষ্পত্তি হবে কি-না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। খবর:-ফেয়ার নিউজ
এ মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যাপারে সরকার ও বাদী পক্ষের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাদী পক্ষের অনাস্থা আবেদনের কারণে এ পর্যন্ত হাইকোর্টের ৮টি বেঞ্চ পরিবর্তন হয়েছে। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এ হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম। এ মামলায় দীর্ঘদিন যাবত কারাগারে আটক আসামিদের আত্মীয়স্বজন দ্রুত মামলাটি নিষ্পত্তির দাবি জানিয়েছেন। তারা কারাগারে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল নিম্ন আদালতে রায়ের পর হত্যা মামলার আপিলটি এভাবে হাইকোর্টে ৭ বছর ঝুলে রয়েছে।
দলীয় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহসান উল্লাহ মাস্টার নিহত হন মর্মে পরদিন সরকার প্রেসনোট জারি করে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এরশাদের ছেলে খ্যাত জাতীয় ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম দীপুকে প্রধান আসামি করে আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছোট ভাই মতিউর রহমান পরদিন টঙ্গী থানায় ১৭ জনকে এজাহারভুক্ত করে একটি হত্যা মামলা নং- ৭(৫)২০০৪ দায়ের করেন। মামলায় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিরোধের অংশ হিসেবে যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় শিল্পবিষয়ক সম্পাদক নূরুল ইসলাম সরকারসহ বিএনপির স্থানীয় অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
২০০৫ সালে প্রধান আসামি নূরুল ইসলাম দীপু ও হুকুমের আসামি নূরুল ইসলাম সরকারসহ মোট ২২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। স্মরণকালের ইতিহাসে একসঙ্গে এত আসামির ফাঁসির আদেশের নজির নেই। আসামিদের অধিকাংশই ছিল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও এরশাদের জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠন জাতীয় ছাত্রসমাজের নেতা-কর্মী। এছাড়া মামলায় বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত মোট ৫ আসামির মধ্যে ২ জনের ফাঁসি ও ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয়। বর্তমানে নূরুল ইসলাম সরকারসহ ১৬ জন কারাগারে এবং প্রধান আসামি নূরুল ইসলাম দীপুসহ ১০ জন পলাতক রয়েছে।
১২ কার্য দিবসে ১৯ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত ১৬ জানুয়ারি বাদী এই বেঞ্চকেও অনাস্থা জানিয়ে বসেন। এ অবস্থায় আপিলটির নথি বর্তমানে প্রধান বিচারপতির দফতরে রয়েছে। মামলা পরিচালনায় বাদী পক্ষের এ ধরনের অসহযোগিতার ফলে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলাটি নিষ্পত্তি হবে কি-না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। খবর:-ফেয়ার নিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়