পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের কবিতার বিখ্যাত চরিত্র আসমানী আর নেই।আসমানী আজ প্রথম প্রহরে সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের রসুলপুরের গ্রামের বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে...রাজিউন)।তার বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর।আসমানী গত ৩ মাস যাবত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তিনি গত জুনে অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে তাকে সদর হাসপাতালে এবং পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার অবস্থার উন্নতি হয়নি। তারপর ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক হেলাল উদ্দিন আহমদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে তাকে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত ২ আগস্ট পর্যন্ত তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক তার চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার বহন করেন।১৯৪৬ সালে পল্লীকবি জসীম উদ্দীন আসমানীর বাড়িতে তার বিখ্যাত কবিতা �আসমানী� রচনা করেন এবং এই কবিতার মাধ্যমে আসমানী বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। পরে এই কবিতা স্কুল পাঠ্যবইতে অন্তর্ভুক্ত হয়।জসীম উদ্দীনের কবিতা আসমানীকে বিখ্যাত করে তোলে। জীবিত থাকাকালে বিপুল সংখ্যক জনগণ তাকে দেখতে তার বাড়িতে যান।উল্লেখ্য, কবি জসীম উদ্দীনের বাড়ি থেকে আসমানীর বাড়ির দূরত্ব ছিল মাত্র ২ কিলোমিটার। এ কারণে কবি ঘন ঘন তার বাড়িতে যেতেন এবং কবির সাথে তার মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠে।মৃত্যুকালে আসমানী ৫ কন্যা, ১ পুত্র, ১৫ জন নাতি-নাতনি, আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার কনিষ্ঠা নাতনির বয়স ৫৭ বছর।পারিবারিক সূত্র জানায়, জোহর নামাজের পর তাকে তার বাড়ির কাছে দাফন করা হবে।জেলা প্রশাসক হেলাল উদ্দিন আহমেদ তার বাড়িতে যান এবং তার দাফন ও অন্যান্য খরচ দেন বলে পারিবারিক সূত্রে বলা হয়েছে।ফরিদপুর শহরের সাংস্কৃতিক কর্মী ও সাংবাদিকগণ তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তাকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার বাড়িতে যান।খবর নিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়