দলীয় সূত্রগুলো বলছে, ঈদের পরপরই কঠোর আন্দোলন হবে না। যদিও ঈদের পর সরকারবিরোধী লাগাতার কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে বিএনপি। বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে কঠোর আন্দোলনে যেতে আরও কিছু সময় নেবে দলটি। বড় ধরনের একটি আন্দোলনের ক্ষেত্র তৈরি করতে ঈদের পর থেকে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করা হবে।বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে পুনর্বহালের দাবিতে ঈদের পর মাঠে নামবেন । এই দাবির সপক্ষে জনসমর্থন বাড়ানোর পাশাপাশি দলের নেতা-কর্মীদের চাঙা করতে বিভিন্ন জেলা সফর করবেন তিনি। তবে তাঁর সফরসূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এর মধ্যে ঈদের পর পদ্মা সেতু দুর্নীতির প্রতিবাদে কিছু কর্মসূচিও দেবে দলটি। নেতা-কর্মীদের চাঙা রাখাসহ আন্দোলনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং �গ্রেপ্তার ও সরকারের নির্যাতনের প্রতিবাদে� থানাভিত্তিক হরতালের কর্মসূচি দেওয়ারও চিন্তাভাবনা আছে। দলীয় একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, সরকার কোনো ক্ষেত্রেই যেমন সাফল্য দেখাতে পারেনি, তেমনি বিএনপিও এখন পর্যন্ত এর সুযোগ নিতে পারেনি। তার পরও ক্রমাগত ব্যর্থতার কারণে সরকার দিন দিন জনগণের আস্থা হারাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তাই তাঁরা এখন বিএনপির পক্ষে জনসমর্থন বাঢ়ানোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। জনসমএ বিষয়ে জানতে চাইলে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এখন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কিছু সাংগঠনিক সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পুরো রমজান মাস বিএনপি সাংগঠনিক মাস হিসেবে কাটাবে। তিনি বলেন, রমজানজুড়ে সারা দেশে ইফতার আয়োজনের পাশাপাশি চলবে জনসংযোগ। রমজান মাসের পর আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুতে আন্দোলন শুরু হবে। তিনি জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির পাশাপাশি পদ্মা সেতু দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বিএনপি আলাদা কর্মসূচি পালন করবে।র্থন বাড়ানোর পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির পক্ষে বিএনপির নেতারা।এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে সরকারকে তিন মাসের সময় বেঁধে দেন খালেদা জিয়া। গত ১০ জুন এ সময়সীমা শেষ হয়। পরদিন ১১ জুন সমাবেশ থেকে সারা দেশে পাঁচটি বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। একবার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে দাবি আদায় করতে না পারায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপির অনেক নেতা। তাই এবার আর সে ধরনের ঝুঁকি নিতে চান না তাঁরা। সে জন্য তাঁরা ধীরে চলার পক্ষে। এর পাশাপাশি বিএনপি মনে করছে, ঈদের পরপরই লাগাতার কঠোর আন্দোলন শুরু করা হলে তা কত দিন অব্যাহত রাখা যাবে, এ নিয়ে সংশয় আছে। কারণ, সরকারের ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ রয়েছে আরও এক বছরের বেশি।বিএনপির স্থায়ী কমিটির ওই সদস্যের মতে, আন্দোলন এক দিনে গড়ে ওঠে না। এ বছর আন্দোলনের ক্ষেত্র তৈরি করা হবে। সরকারের শেষ বছর আটঘাট বেঁধে মাঠে নামবে বিএনপি। তখন দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করা যাবে। তিনি বলেন, তবে রাজনীতিতে কোনো কিছুই চূড়ান্ত নয়। প্রয়োজনে এর আগেও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। খবর:-ফেয়ার নিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়