আজ বৃহস্পতিবার ভাগ্য নির্ধারণের রাত-পবিত্র শবে বরাত।। বরকতময় এই রাতে বান্দার উপর আল্লাহর অশেষ রহমত ও দয়া বর্ষিত হয়। এই রাতে ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে পরিশুদ্ধ জীবনযাপনের জন্য আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করা যায়। পুণ্যময় এই রাত মুসলমানদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গত ২০ জুন সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভায় ৫ জুলাই শবে বরাত পালনের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সহসভাপতি কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে গত ২০ জুন বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এ কারণে ২১ জুন বৃহস্পতিবার পবিত্র রজব মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হয় এবং ২২ জুন শুক্রবার থেকে পবিত্র শাবান মাস গণনা শুরু হয়েছে। এই হিসাবে ৫ জুলাই, ১৪ শাবান বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।
ইসলাম ধর্মে শবে বরাতকে চারটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রজনীর অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এ রাতে আল্লাহ পরবর্তী বছরের জন্য মানবজাতির রিজিক নির্ধারণ করে সবার ভাগ্য নির্ধারণ করেন ও ধর্মপ্রাণদের সব পাপ ক্ষমা করে দেন। এই রাতেই যারা পরবর্তী বছরে জন্মগ্রহণ ও মৃত্যুবরণ করবে, তাদের তালিকা করা হয়। এ কারণেই রাতটি মুসলমানদের কাছে ভাগ্য নির্ধারণের রজনী হিসেবে বিবেচিত।
ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই রাতে নফল ইবাদত-বন্দেগির মধ্যে নিমগ্ন থাকার জন্য মুসলমানদের নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। এই রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন রহমত ও দয়ার ভান্ডার। তাই মুসলমান সম্প্রদায়ের কাছে এটি উৎসবের রাতও।
ধর্মীয় দিকের পাশাপাশি ঐতিহ্যগতভাবে এ উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয় মুসলমান সম্প্রদায়। মুসলমানরা তাদের সাধ্যমতো ভালো খাবার তৈরি করে এই রাত সামনে রেখে। প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন ও দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণের মাধ্যমে এ আনন্দটুকু ভাগ করে নেওয়া হয়। পবিত্র শবে বরাত পালনের এটাও একটা বিশেষ দিক। তবে ভালো খাবারদাবারের এ আয়োজন কারও কারও কাছে লোক দেখানো বিষয়ে পরিণত হয়েছে, যা শবে বরাতের চেতনার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। লোক দেখানো এসব আয়োজনের চেয়ে পবিত্র এই উপলক্ষকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে গরিব-দুঃখীদের দান-খয়রাত করা ও তাদের জন্য কিছু ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা ইসলামের শিক্ষার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পবিত্র এই রাতে পটকা ও আতশবাজি পোড়ানোর যে রেওয়াজ একসময় গড়ে উঠেছিল, তা এখন আর নেই। তবে এ ধরনের কাজ একেবারে বন্ধ হয়েছে, এমনটি বলা যাবে না। পটকা বা আতশবাজি পোড়ানোর বিষয়টি এই রাতের পবিত্রতা ও ভাবগাম্ভীর্যকে যেমন নষ্ট করে, তেমনি যাঁরা রাতব্যাপী প্রার্থনায় মগ্ন থাকেন তাদের ইবাদত-বন্দেগিতে চরম ব্যাঘাত ঘটায়। পরিবারের ছোটরা যাতে এ ধরনের কাজ করতে না পারে, সে ব্যাপারে অভিভাবকদের যেমন সচেতন থাকতে হবে, তেমনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও সজাগ থাকতে হবে, যাতে কেউ পবিত্র এই রাতের ভাবগাম্ভীর্য নষ্ট করতে না পারে সিডি নিউজ
গত ২০ জুন সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভায় ৫ জুলাই শবে বরাত পালনের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সহসভাপতি কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে গত ২০ জুন বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এ কারণে ২১ জুন বৃহস্পতিবার পবিত্র রজব মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হয় এবং ২২ জুন শুক্রবার থেকে পবিত্র শাবান মাস গণনা শুরু হয়েছে। এই হিসাবে ৫ জুলাই, ১৪ শাবান বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।
ইসলাম ধর্মে শবে বরাতকে চারটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রজনীর অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এ রাতে আল্লাহ পরবর্তী বছরের জন্য মানবজাতির রিজিক নির্ধারণ করে সবার ভাগ্য নির্ধারণ করেন ও ধর্মপ্রাণদের সব পাপ ক্ষমা করে দেন। এই রাতেই যারা পরবর্তী বছরে জন্মগ্রহণ ও মৃত্যুবরণ করবে, তাদের তালিকা করা হয়। এ কারণেই রাতটি মুসলমানদের কাছে ভাগ্য নির্ধারণের রজনী হিসেবে বিবেচিত।
ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই রাতে নফল ইবাদত-বন্দেগির মধ্যে নিমগ্ন থাকার জন্য মুসলমানদের নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। এই রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন রহমত ও দয়ার ভান্ডার। তাই মুসলমান সম্প্রদায়ের কাছে এটি উৎসবের রাতও।
ধর্মীয় দিকের পাশাপাশি ঐতিহ্যগতভাবে এ উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয় মুসলমান সম্প্রদায়। মুসলমানরা তাদের সাধ্যমতো ভালো খাবার তৈরি করে এই রাত সামনে রেখে। প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন ও দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণের মাধ্যমে এ আনন্দটুকু ভাগ করে নেওয়া হয়। পবিত্র শবে বরাত পালনের এটাও একটা বিশেষ দিক। তবে ভালো খাবারদাবারের এ আয়োজন কারও কারও কাছে লোক দেখানো বিষয়ে পরিণত হয়েছে, যা শবে বরাতের চেতনার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। লোক দেখানো এসব আয়োজনের চেয়ে পবিত্র এই উপলক্ষকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে গরিব-দুঃখীদের দান-খয়রাত করা ও তাদের জন্য কিছু ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা ইসলামের শিক্ষার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পবিত্র এই রাতে পটকা ও আতশবাজি পোড়ানোর যে রেওয়াজ একসময় গড়ে উঠেছিল, তা এখন আর নেই। তবে এ ধরনের কাজ একেবারে বন্ধ হয়েছে, এমনটি বলা যাবে না। পটকা বা আতশবাজি পোড়ানোর বিষয়টি এই রাতের পবিত্রতা ও ভাবগাম্ভীর্যকে যেমন নষ্ট করে, তেমনি যাঁরা রাতব্যাপী প্রার্থনায় মগ্ন থাকেন তাদের ইবাদত-বন্দেগিতে চরম ব্যাঘাত ঘটায়। পরিবারের ছোটরা যাতে এ ধরনের কাজ করতে না পারে, সে ব্যাপারে অভিভাবকদের যেমন সচেতন থাকতে হবে, তেমনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও সজাগ থাকতে হবে, যাতে কেউ পবিত্র এই রাতের ভাবগাম্ভীর্য নষ্ট করতে না পারে সিডি নিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়