ফল প্রকাশের ঠিক এক বছরের মাথায় সোমবার বঙ্গভবনে পঞ্চম আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০০১
এর এই চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান
ব্যুরোর ওয়েবসাইটে আদামশুমারির এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।প্রতিবেদনে বলা হয়, গত
দশকে জনসংখ্যা ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে বেড়েছে যা ২০০১ সালে ছিল ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আর
আদমশুমারির রাত ১৫ মার্চ দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৪ জন।
গত বছরে জুলাইয়ে এই আদমশুমারির প্রাথমিক ফলাফলে বলা হয়েছিল, ২০১১ সালের ১৫ মার্চ
দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার, যা ধারণার চেয়ে কম বলে তখন বিস্ময়
প্রকাশ করেন অনেকেই।জানা যায়, গত বছর প্রাথমিক ফল প্রকাশের পর আদমশুমারির তথ্য
যাচাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান-বিআইডিএসকে। গত ৯
এপ্রিল বিআইডিএস জানায়, তাদের মূল্যায়নে শুমারিতে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ মানুষ গণনা থেকে
বাদ পড়েছে। এই ভুল সংশোধন করেই জনসংখ্যার চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশ করলো বাংলাদেশ
পরিসংখ্যান ব্যুরো।আদমশুমারির প্রকল্প পরিচালক অসীম কুমার দে বলেন, তথ্য
যাচাইয়ের পর চূড়ান্ত হিসাবে দেখা যাচ্ছে আদমশুমারির রাতে মোট জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি
৯৭ লাখ ৭২ হাজার।উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে দেশে প্রথম আদম শুমারি হয়।
তখন প্রাথমিক ফলাফলে জনসংখ্যা ৭ কোটি ১৮ লাখ দেখা গেলেও চূড়ান্ত ফলাফলে তা বেড়ে ৭
কোটি ৬৪ লাখ হয়। আর ২০০১ সালে চতুর্থ আদমশুমারিতে দেশের জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪৩
লাখ ৫৫ হাজার। জনসংখ্যার ঘনত্ব ছিল প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৮৩৪ জন।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়