Sunday, July 29

ঈদের পরে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে: খালেদা জিয়া

রোববার গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে ১৮ দলীয় জোটের শরিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ইফতার মাহফিলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, অন্যায়-জুলুম-অবিচারের হাত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষার জন্য আমরা ১৮ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধভাবে ঈদের পর সংগ্রাম করবো। আমাদের পক্ষেই দেশের মানুষকে রক্ষা করা সম্ভব। এজন্য নিজ নিজ দলকে এখন থেকেই প্রস্ত্ততি নিতে হবে।খালেদা জিয়া বলেন, আজকে সংবাদপত্রের কোনো স্বাধীনতা নেই। সাংবাদিক হত্যার কোনো বিচার হচ্ছে না। এই সরকারের আমলে ১৪ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছে। এর কোনো তদন্ত হয়নি। প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা সাংবাদিকরে আক্রমন করছে। আমরা ক্ষমতায় এলে এই হত্যার বিচার করা হবে এবং সংবাদপত্রের পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হবে।তিনি বলেন, শহীদ জিয়া মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় আমাদের অবদান রয়েছে। তাই বর্তমান সংকট মূহুর্তে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে আমরা গণতন্ত্র রক্ষা করব।ঈদের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে বেগম জিয়া বলেন, ঈদের পর জোরালো আন্দোলন করে এই সরকারকে বাধ্য করা হবে সংবিধান সংশোধন করতে। তাই ১৮ দলীয় জোটের প্রত্যেক নেতা কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ইফতারের আগে দেশের সমৃদ্ধি ও সাফল্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।এলডিপি�র সভাপতি কর্নেল অব.অলি আহমেদের সভাপতিত্বে ইফতার পার্টিতে ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন।ইফতারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিঞা, ১৮ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমীর এ কে এম নাজির আহমেদ, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মজিবুর রহমান, কর্ম পরিষদের সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি খন্দকার গোলাম মূর্তজা, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ সভাপতি জেবেল রহমান গানি, মুসলিম লীগের নির্বাহী সভাপতি এ এইচ এম কামারুজ্জামান খাঁন, ও পিপলস পার্টির সভাপতি গরীব নেওয়াজ ইফতারে অংশ নেন।মঞ্চে বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে এলডিপি�র সভাপতি অলি আহমেদ, মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অধ্যাপিকা জাহানারা বেগম ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গনি বসেন। এর আগে অলি আহমেদ স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ফেলেছে। এদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। তাই এই রোজায় সবাইকে শপথ নিতে হবে- ঈদের পর আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করব।এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, লে. জে. অব. মাহবুবুর রহমান, আ স ম হান্নান শাহ, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান, রাজিয়া ফয়েজ, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসেরনের উপদেষ্টা ড. এম ওসমান ফারুক, মাহমুদুল হাসান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ডা. এ জেড মোহাম্মদ আলী, অধ্যাপক আবদুল মান্নান, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, এম এ মান্নান, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, বরকত উল্লহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আ ন হ এহছানুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শিরিন সুলতানা, সাবেক এমপি নাসের রহমান, রশিদুজ্জামান মিল্লাত, ও আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম। ইফতারে এলডিপ�র সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মামদুদুর রহমান চৌধুরী, আবদুল গনি আববাসী, আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সাহাদাত হোসেন সেলিমসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ২০০৬ সালের অক্টোবরে চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার পূর্বমূর্হুতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য অলি আহমেদ, সাবেক স্পিকার রাজ্জাকসহ দলের একডজন নেতা ও সংসদ নিয়ে নতুন দল এলডিপি গঠন করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এককভাবে অংশ নিলেও বর্তমানে তারা ১৮ দলীয় জোটের শরীক। খবর:-ফেয়ার নিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়