কানাইঘাট উপজেলার ৮নং ঝিংগাবাড়ী ইউনিয়নের শ্রী শ্রী গোপীনাথ ঠাকুর আখড়ার দেবত্তর সম্পত্তির ২একর ৮২শতক ফসলীয় জমি জোরপূর্বকভাবে গত বুধবার দখল করে নিয়েছেন স্থানীয় জামায়াতের ৪নেতা। এ ঘটনায় এলাকায় সচেতন মহলের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। দেবত্তর সম্পত্তির জবর দখলের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন সর্বস্থরের মানুষ। দেবত্তর সম্পত্তি দখলের ঘটনায় বাদী হয়ে গোপীনাথ ঠাকুর আখড়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক মঙ্গল চন্দ দাস (৪৮) বাদী হয়ে গত বুধবার কানাইঘাট থানায় জবরদখলকারী তিনচটি, নারাইনপুর (ভাড়ারীমাটি) গ্রামের প্রভাবশালী আব্দুল হাফিজ (৫৫), হাজী আবু বক্কর (৭০), শাহাব উদ্দিন (৫০), কুতুব উদ্দিন (৭৫) কে সহ ৭জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঐদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। অভিযোগের সততা পেয়ে গতকাল থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল হোসেন মামলাটি এফ.আই.আর করেন। থানার মামলা নং- (৫)১২/০৭/১২। দখলকারী এ চারজন স্থানীয় জামায়াতের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। গতকাল সরেজমিনে গেলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন জানান, শ্রী শ্রী গোপীনাথ ঠাকুর আখড়ার দেবত্তর সম্পত্তি মালিকানাধীন নারাইনপুর মৌজায় অবস্থিত ২একর ৮২শতক আউশউরা জমি বিগত ২’শ বছর ধরে আখড়া পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ ভোগদখল করে আখড়া পরিচালনা করে আসছিলেন। প্রায় ৭বছর পূর্বে জালিয়াতির মাধ্যমে উল্লেখিত চার জামায়াত নেতা ২একর ৮২শতক জমি রবিন্দ্র দাসের কাছ থেকে দলিল সূত্রে কিনেন। জমি কেনার পর এ চার জামায়াত নেতা জোরপূর্বকভাবে দেবত্তর সম্পত্তি দখল করে হিন্দু সম্প্রদায়কে জমির দখল থেকে তাড়িয়ে দেন। পরবর্তীতে আখড়া কমিটির প থেকে সিলেটের সহকারী জজ আদালত কানাইঘাটে সত্ত্ব মুকদ্দমা মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘ ৭বছর আদালতে মামলা চলার পর গত ০৩/০১/২০১২ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ২একর ৮২শতক ফসলী জমি আখড়ার মালিকানা উলেখ করে রায় প্রধান করেন। রায়ের আলোকে আদালত জমির দখল আখড়া পরিচালনা কমিটিকে বুঝিয়ে দেয়। রায়ের পর উক্ত ফসলী জমিতে আখড়া কমিটির উদ্যোগে আউশধান চাষ করা হয়। গত বুধবার সকাল অনুমান ৮টায় মামলার বিবাদীরা ফসলীয় জমির ধান তে ট্যাক্টর দ্বারা মাড়াইয়া তিসাধন করে আখড়ার জমি জোরপূর্বকভাবে দখল করে নেয়। এসময় আখড়া কমিটির নেতৃবৃন্দ তাদের জমি রা করতে এগিয়ে আসলে জবরদখলকারীরা তাদের মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দিলে প্রাণের ভয়ে তারা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ােভ বিরাজ করছে। স্থানীয় লোকজন ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। অপরদিকে মামলার ১নং আসামী আব্দুল হাফিজ জানিয়েছেন, জমি খন্ডটি তারা চারজন মিলে দলিলসূত্রে রবিন্দ্র দাসের কাছ থেকে কিনেছিলেন। আখড়ার পে আদালতে রায় হওয়ায় তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করেছেন। বর্তমানে আদালতে মামলা চলাকালনী অবস্থায় জমি খন্ডটি আখড়া পরিচালনা কমিটি দখল করে নিলে তারা দখল মুক্ত করেছেন।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়