পদ্মা সেতু অর্থায়ন চুক্তির মেয়াদ বাড়াল এডিবি ও জাইকা
মঙ্গলবার দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন চুক্তির মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)।এ দুই দাতা সংস্থার ঢাকা কার্যালয়ের আবাসিক প্রতিনিধিরা দুপুরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) উপস্থিত হয়ে মেয়াদ বাড়ানো সংক্রান্ত চিঠি পৌঁছে দেন বলে জানান এক কর্মকর্তা।ইআরডির কর্মকর্তা বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে এডিবি ও জাইকার ঋণচুক্তির মেয়াদ মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) শেষ হচ্ছে। ইআরডির পক্ষ থেকে এ মেয়াদ বাড়াতে দুই সংস্থাকেই চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সে চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই তারা আলাদা আলাদা চিঠি দিয়ে মেয়াদ এক মাস বাড়ানোর কথা জানিয়েছে।অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, বিশ্ব ব্যাংক যাতে পদ্মা সেতুতে ফিরে আসে। সেজন্য এডিবি, জাইকা ও আইডিবিকে তৎপরতা চালাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।তবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিশ্ব ব্যাংককে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনায় রাজি করানোরও চেষ্টা করে যান। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে অন্য তিন দাতা সংস্থা এডিবি, জাইকা ও আইডিবিকে এ প্রকল্পে অর্থায়নের অনুরোধ জানিয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হয়।২৯০ কোটি ডলারের পদ্মা সেতু প্রকল্পে এডিবি ৬১ কোটি ৫০ লাখ এবং জাইকা ৪০ কোটি ডলার দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে। ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক-আইডিবিও এ প্রকল্পে ১৪ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার চুক্তি করেছিল।কিন্তু এ প্রকল্পের মূল অর্থায়নকারী সংস্থা বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত ২৯ জুন ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি বাতিল করে। ফলে অন্য দাতা সংস্থাগুলোর অর্থায়ন নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।বিশ্ব ব্যাংক সরে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন এবং মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ প্রকল্পের জন্য আভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সম্পদ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।জাইকার প্রেসিডেন্ট জুনের শেষ সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফরকালে পদ্মা সেতুর বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলেও জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী।বিশ্ব ব্যাংক ঋণচুক্তি বাতিল করার পর ৯ জুলাই মুহিত বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিষয়িিটে নেয় আলোচনায় বসেন। বিশ্ব ব্যাংকের কোনো প্রতিনিধি ওই বৈঠকে উপস্থিত না থাকলেও এডিবি, জাইকা, আইডিবি প্রতিনিধিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।পদ্মা সেতু নিয়ে টানাপোড়েনের অবসানে বিশ্ব ব্যাংক আগে যে শর্ত দিয়েছিল, তা পূরণে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন ইতোমধ্যে মন্ত্রিত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়া সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইয়াকেও ছুটিতে পাঠিয়েছে সরকার। খবর:-ফেয়ার নিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়