Wednesday, June 27

পাহাড় ধসে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে ৮৩ জন নিহত

প্রবল বর্ষণে সৃস্ট পাহাড় ধসে গত রাতে আরো ৫৪ জন প্রাণ হারানোর ফলে বান্দরবান, কক্সবাজার ও বন্দর নগরীতে দু�দিনে মৃতের সংখ্যা ৮৩তে দাঁড়িয়েছে।সূত্র জানায়, বুধবার পর্যন্ত কয়েক দফা পাহাড় ধসে বান্দরবানে ৩২ জন, কক্সবাজারে ৩৪ জন এবং বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।বাসস�র বান্দরবান সংবাদদাতা জানিয়েছেন, জেলার লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় মঙ্গলবার রাতে ভয়াবহ পাহাড়ধসে ১৩ শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী ৩২জন নারী-পুরুষ নিহত এবং ২শতাধিক মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন।এসব এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনায় এখনো ১০জন গ্রামবাসী নিখোঁজ রয়েছেন। অসংখ্য গবাদি-পশু এবং ২শতাধিক ঘর-বাড়ি মাটিতে চাপা পড়েছে।লামা উপজেলার ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম, সদস্য মো.জোবায়ের, শহিদুল্লাহ মিন্টু এবং এমুইচিং মার্মার নেতৃত্বে গ্রামবাসী, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা নিহতের লাশসহ আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছে।ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম জানান, এ ইউনিয়নের মগনামা পাড়া ও রাইমাখোলা গ্রামে মঙ্গলবার রাতে প্রবলবর্ষণ,আকস্মিক ভূমিকম্প এবং বজ্রপাতের কারণে পাহাড় ধসের শতাধিক ঘর মাটি চাপা পরে। এতে ঘুমন্ত অবস্থায় নিহত হন ২৩জন গ্রামবাসী। নিহতদের ১০টি শিশু, ৮জন নারী এবং ৫জন পুরুষ। তাদের নামের তালিকা তৈরি হচ্ছে। হতাহদের সংখ্যা বাড়তে পরে বলে আশংকা করা হচ্ছে।্এদিকে জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী এলাকায় বানের পানিতে ডুবে একই পরিবারের ৩টি শিশুসহ ৬জন মারা গেছে। একই এলাকায় আরও ১০জন নিঁখোজ রয়েছেন। একই উপজেলার রেজু এলাকায় পাহাড় ধসে ৩জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল শামীম।জেলা প্রশাসক কেএম তারিকুল ইসলাম বুধবার সকালে জানান, ফাইতংয়ে পাহাড় ধসের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৩জনের মৃত্যুর সংবাদ তিনি পেয়েছেন। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ও রেজু এলাকায় ৯জন গ্রামবাসী পানিতে ডুবে এবং পাহাড় ধসে নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রা.) ফয়েজ আহমদ এবং লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে উদ্ধার কাজ তদারকি এবং প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য পাঠানো হয়েছে।পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, জেলা প্রশাসক কেএম তারিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার কামরুল আহসান এবং অন্যান্য পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিরা ত্রাণবিতরণের প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানা গেছে।এদিকে জেলা শহরের ১৯টি বন্যা-আশ্রয় কেন্দ্র প্রায় ৪ হাজার বন্যার্ত লোক আশ্রয় নিয়েছেন। বুধবার সকালে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামস-উল-হুদা ১ হাজার ৭০০ জনের মাঝে রান্নাকরা খাবার বিতরণ করেন। জেলা প্রশাসক কেএম তারিকুল ইসলাম, ব্রিগেড সদর দপ্তরের জি-২ মেজর মুজিবুর রহমান, পৌর মেয়র মো. জাবেদ রেজা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ইশরাত জামান এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভীন ইয়াছমিন তিবরীজি বন্যা-আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পরির্দশন করেন।পৌর মেয়ার জাবেদ রেজা জানান, ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতদের মাঝে পৌর কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের সহায়তায় রান্নাখাবার পরিবেশন করছে ২দিন ধরে।
আপলোড তারিখ : 2012-06-27 খবর:-ফেয়ার নিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়