ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে কানাইঘাটবাসী। প্রতিদিন রুটিন মাফিক ১৫/১৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে চরম ভোগান্তির মধ্যে দিন যাপন করছেন উপজেলার প্রায় আড়াই লক্ষাধিক মানুষ। আকাশে মেঘ জমলেই বিদ্যুৎ হাওয়ায় চলে যায়। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেও দায়ী করেছেন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। বর্তমানে একদিকে এইচএসসি ও আলিম এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ম সাময়িক পরীক্ষাও শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহ থেকে বাণিজ্যিক এলাকাগুলোতেও বিদ্যুতের অবস্থা খুবই নাজুক। এর ফলে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি পরীক্ষার্থীরাও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়া। এমনকি এই গরমের মধ্যে পরীক্ষা চলাকালীন সময়েও পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ না থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না থাকায় সরকার কর্তৃক ডিজিটাল বাংলাদেশের অংশ হিসাবে প্রত্যেক ইউনিয়নে তথ্য-ই সেবা কেন্দ্রের কার্যক্রমে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে বলে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানরা জানিয়েছেন। এর ফলে সাধারণ মানুষকে তথ্য কেন্দ্র থেকে কাংখিত সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লোডশেডিং এর পাশাপাশি বোল্ডেজ সমস্যাও প্রকট। যখন তখন বিদ্যুতের বোল্ডেজের কারণে টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান, বাল্ব, মোটর, কম্পিউটার, ফটোস্ট্যাট মেশিনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র প্রতিনিয়ত বিকল হচ্ছে। ফলে বিদ্যুতের গ্রাহকরা আর্থিকভাবেও চরম তির সম্মুখীন হচ্ছেন। গ্রাহকরা জানিয়েছেন, ঝড়ে বিদ্যুতের লাইন বিকল হলে জরুরী ভিত্তিতে মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও তেমন কোন সাড়া পাওয়া যায় না। কানাইঘাট উপজেলার বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ খুবই সামান্য পাওয়া যায়। যেখানে প্রতিদিনের চাহিদা হলো সাড়ে সাত মেগাওয়াট কিন্তু পাওয়া যায় প্রতিদিন মাত্র দুই থেকে আড়াই মেগাওয়াট। যা গ্রাহকদের চাহিদা মেটানো কোনভাবেই সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি সিলেট-২ এর কানাইঘাট জোনাল অফিস ইনচার্জ তাজুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ দিতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে গ্রাহক অনুযায়ী আমাদের লোকজন অনেকটা কম। বতর্মানে প্রতিনিয়ত ঝড়-বৃষ্টির কারণে নিরবিচ্ছিন্ন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়