ভারতের শাহী মুরাদাবাদের প্রধান মুফতি ও মহা-পরিচালক আওলাদে রাসূল (সাঃ) আল্লামা সায়্যিদ সালমান মনসুরপুরী বলেছেন, দেওবন্দী আলেম-উলামা বেঁচে থাকতে ব্রাহ্মণবাদী নীল নকশা বাস্তবায়ন হতে দেবে না। মুসলমানরা আজ ইহুদী-খৃষ্টানদের হাতে নির্যাতিত ও নিষ্পেতিত হওয়ার একমাত্র কারণই হচ্ছে মুসলিম জাতি কুরআন-হাদীসের আদর্শ থেকে দূরে সরে গিয়ে নাসারাদের আদর্শ অনুসরন করছে। এ থেকে মুক্তি পেতে মুসলমানদের কুরআনের আদর্শকে অনুসরন করে সঠিক দিন ও ইসলামের পথ অনুসরন করে চলতে হবে এবং দ্বীন ইসলামকে জাগ্রত করতে দেওবন্দের পথ প্রদর্শনের মাধ্যমে কৌমি মাদ্রাসার খেদমতে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। আল্লামা মনসুরপুরী গত বুধবার কানাইঘাট জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম দারুল হাদীস মাদ্রাসার বার্ষিক ইসলামি মহাসম্মেলনে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। বৃহত্তর সিলেটের সর্ব বৃহৎ এ ইসলামী মহা-সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার মুহতামিম শায়খুল হাদীস আল্লামা মুহাম্মদ বিন ইদ্রীস লীপুরী। এ ধর্মীয় মাহফিলে ইসলামী নেতৃবৃন্দের মধ্যে বয়ান পেশ করেন, বিশিষ্ট কলামিষ্ট আল্লামা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ ঢাকা, মাওঃ ফরিদ উদ্দীন ফেনী, মাওঃ ইয়াহিয়া মাহমুদ ঢাকা, মাওঃ আলিমুদ্দীন দূর্লভপুরী, মাওঃ মুফতি নুরুল হক, মাওঃ শামসুদ্দীন দুর্লভপুরী, মাওঃ মাহমুদুল হাসান রায়গড়ী, মাওঃ নূরুল ইসলাম এল.এল.বি, মাওঃ মস্তাক আহমদ খান, মাওঃ মখলিছুর রহমান, মাওঃ নজরুল ইসলাম, মাওঃ শিহাব উদ্দিন, মাওঃ শফিকুর রহমান। রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপি নেতা সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল কাহির চৌধুরী, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মামুনুর রশিদ মামুন, আ’লীগ নেতা ও পৌর মেয়র লুৎফুর রহমান, বিশিষ্ট সাংবাদিক এম.এ.হান্নান, বিএনপি নেতা জসীম উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম.সোহরাব হোসেন, কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল হোসেইন প্রমুখ। মাদ্রাসার সহকারী শিক মাওঃ কারী হারুনূর রশিদ চতুলী’র উপস্থাপনায় দিনরাত ব্যাপী এ ইসলামী সম্মেলনে বৃহত্তর সিলেটের হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ অংশগ্রহন করেন।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়