Sunday, December 4

১৯ মুক্তিযোদ্বাকে জীবন্ত মাটি চাপা দেয়া হয় কানাইঘাটে

১৯ মুক্তিযোদ্বাকে জীবন্ত মাটি
চাপা দেয়া হয় কানাইঘাটে


মাহবুবুর রশিদ: একাত্তরে বাঙালীদের ওপর পাকিস্তানীদের বর্বরতা ও নৃশংসতার কাহিনী শুনলে গা শিউরে উঠে। পাকিহানাদার বাহিনীরা বাংলাদেশে গণহত্যা শুরু করে। সারা দেশের ন্যায় পাকিস্তানী হায়েনা ও তাদের দোসরদের হাতে নির্বিচারে গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কানাইঘাটের সকল শ্রেণীর মানুষ। গোঠা জাতির সাথে কানাইঘাটের শতাধিক বীর সন্তান মহান মুক্তিযুদ্বে অংশগ্রহণ করে অপরিসীম আত্নত্যাগের গৌরব অর্জন করেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪০ বছর পরও চরম অবহেলা আর অযন্তে পড়ে আছে মহান স্বাধীনতা যুদ্বে জীবন উৎসর্গকারী কানাইঘাটের ২২ শহীদ মুক্তিযোদ্বার কবর। অথচ এ সকল শহীদদের আত্নত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন একটি দেশ। কিন্তু তাদের পরিবার পরিজনের খবর আজও কেউ রাখেনি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্বাদের সাহায্য করার অপরাধে স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় একই দিনে ২২ মুক্তিযোদ্বাদেরকে তাদের নিজ নিজ বাড়ী থেকে ধরে এনে পাক হানাদাররা নির্মমভাবে জীবন্ত কবর দিয়েছিল। এই ২২ মুক্তিযোদ্বাদের মধ্যে ১৯ জনকে জীবন্ত মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিল কানাইঘাট উপজেলা সদরের মাত্র ১ কি:মি: দূরবর্তী কানাইঘাট-দরবস্ত রাস্তা সংলগ্ন বিষুপুর খালের পারে বাকি ৩ জনকে ঐ স্থান থেকে ২০০ গজ দূরে সমাহিত করা হয়। অথচ দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর সন্তানদের সমাধিস্থলটি পড়ে আছে অযন্তে অবহেলায়। ১৯ জনের সমাধিস্থলে পাকা দেয়াল তৈরী করলেও সমাধিস্থলটি যে কোন সময় পাশ্ববর্তী খালের ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যেতে পারে। বাকি ৩ জনের সমাথিস্থল শুধু চারদিকে ৪ টি পিলার আর কাটাতার দিয়ে কোন মতে রাখা হয়েছে। কিছুদিন পর হয়ত তাদের কবর চিহ্নিত করাও কঠিন হয়ে পড়বে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হয়। জাতী শ্রদ্বাভরে স্মরণ করে সেই সকল শহীদদের। যাদের আতœত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের মানচিত্রে লেখা হয় আরেকটি দেশের নাম। কিন্তু স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪০ বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের ভুলতে পারেনি কানাইঘাটের মানুষ। শহীদদের আত্নীয়-স্বজন ও মুক্তিযোদ্বারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা তাদের সমাধিস্থলটির আজ এই অবস্থা,তাদের পরিবার-পরিজন অনাহারে,অর্ধাহারে দিনানিপাত করছে,অথচ যারা রাজাকার তারা কোটি কোটি টাকা ব্যায় করে দালান,কোঠা নির্মাণ করছে। বীর মুক্তিযোদ্বাদের শেষ স্মৃতিটুকু রা করার জন্য তারা বর্তমান সরকারের প্রতি জোরালো দাবী জানান।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়