‘স্যার ৫টাকা বাড়িয়ে দিন, মায়ের অসুখ ঔষধ নিতে হবে-’ করুণ সুরে এক রিক্সাচালক শিশু পৌর শহরের রায়গড় পয়েন্টে যাত্রীকে বলছিল। এই শিশুটি যে বয়সে বই-খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা সেখানে ক্ষুধার তাড়নায় রিক্সা চালিয়ে পঙ্গু বাবার সংসারের খাদ্যের চাহিদা মেটাচ্ছে। দু'মুঠো অন্ন, বস্ত্রের জন্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রিক্সা চালাতে হয় তাকে। সংসারের জীবিকা নির্বাহের জন্য হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে থাকে। শিশুটির নাম আশিক উদ্দিন (১০), সে কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের হকারাই গ্রামের মুশাহিদ আলীর পুত্র। সুদূর অতীতকাল থেকেই দরিদ্র শিশুরা অবহেলা ও অনাদরের শিকার হয়ে আসছে। আজও তাদের সকল অধীকার পায় নি। যদিও বর্তমানে শিশু অধিকার রার জন্য ব্যাপক প্রচার, আইন ইত্যাদি ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। তার পরও শ্রমের বিনিময়ে জীবন ধারণ করছে শিশুরা। কর্মক্ষেত্রে শিশুরা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে। যে শিশুকে পরিবারের স্নেহ আদরে লালিত-পালিত হওয়ার কথা, সেই শিশু আজ নিজের খাদ্য,বস্ত্রের যোগান দিতে এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের খাবার যোগাতে বিভিন্ন ধরনের শ্রম দিয়ে যাচ্ছে। কঠোর পরিশ্রম করে উপার্জন করছে যৎ সামান্য অর্থ যা দিয়ে কোন রকমে তাদের দিন চলে। শিশুশ্রম একটি মানবতা বিরোধী কাজ। তাদের অধিকার ও সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সরকার ও প্রতিটি সচেতন নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে। শিশুদের অধিকার রায় জাতিসংঘ ১৯৫৯সালে ‘শিশু অধিকার সনদ’ ঘোষণা করেছে। এজন্য সকল পর্যায়ে শিশুদের অধিকার রায় কাজ করতে হবে, বন্ধ করতে হবে শিশু শ্রম। শিশুদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করে তাদের জন্য পৃথিবীটা সাজিয়ে রাখতে হবে।
শিশু শ্রম....স্যার ৫টাকা বাড়িয়ে দিন
কাওছার আহমদ:
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়