Tuesday, November 22

ডাকাতদের হামলায় আহত ২
কানাইঘাটে দুধর্ষ ডাকাতি ১৮ভরি স্বর্ণালংকারসহ নগদ আড়াই লক্ষ টাকা লুট
নিজাম উদ্দিন:-
কানাইঘাট উপজেলার ৭নং দক্ষিণ বানী গ্রাম ইউনিয়নের ধলিবিল দক্ষিণ (নয়াগ্রামে)’র বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফারুক আহমদের বাড়িতে গত সোমবার গভীর রাতে এক দুধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতরা নির্জন পাঁকা বাড়িতে হানা দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ব্যবসায়ী ফারুক আহমদ ও তার বৃদ্ধ পিতা হাজী বরকত উল্লাহকে অস্ত্রের মাধ্যমে জিম্মী করে মারধর করে আহত করে নগদ ২ল ৬১হাজার টাকা, ১৮ভরি স্বর্ণালংকার ও দামী কাপড়চোপড়সহ প্রায় ১২ল টাকার মালামাল লুট করে ডাকাতরা নির্বিঘেœ পালিয়ে যায়। বাড়ির গৃহকর্তা আহত হাজী বরকত উল্লাহ ও তার পুত্র বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফারুক আহমদ জানান, পরিবারের অন্যান্য মহিলা ও পুরুষ সদস্যরা অন্যত্র বেড়াতে যাওয়ায় গত সোমবার বাড়িতে তিনি এবং তার পিতা অবস্থান করছিলেন। রাত অনুমানিক আড়াইটার দিকে ১০/১২জনের অস্ত্রধারী ডাকাত দল পাকা বাড়িতে হানা দিয়ে প্রথমে ফারুক আহমদের করে কাঠের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তাকে অস্ত্রের মাধ্যমে জিম্মী করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার বের করে দিতে বলে। তিনি তাতে অসম্মতি জানালে ডাকাতরা তাকে মারধর শুরু করলে তার চিৎকার শুনে পাশের ক থেকে পিতা বরকত উল্লাহ এগিয়ে আসলে ডাকাতরা তাকে ধরে প্রচন্ড মারধর করে আহত করে পিতা পুত্রকে বেঁধে একটি কে আটকে রেখে। পরে ডাকাতরা ঘরের বিভিন্ন কে হানা দিয়ে কাঠ ও স্টীলের সকেস, আলমারী ভেঙ্গে নগদ ২ল ৬১ হাজার টাকা, ১৮ভরি স্বর্ণসহ অন্যান্য দামী জিনিসপত্র লুট করে পার্শ্ববর্তী ধলিবিল হাওর এলাকাদিয়ে পালিয়ে যায়। ডাকাতির পর পিতা-পুত্রের আত্মচিৎকারে গ্রামের আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করেন। ডাকাতির ঘটনাটি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত মোবাইল ফোনে অবহিত করা হলে, পেট্রোল ডিউটিরত পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছলেও ডাকাতদের আটক করতে পারেনি। এদিকে গতকাল সকাল ৭টার দিকে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুর রহমান খান, ওসি (তদন্ত) রুহুল আমীন ডাকাতির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত জব্দ করেন। ডাকাতির ঘটনার পেয়ে সিলেট উত্তর সার্কেলের এ.এস.পি মিস্ বীণা রানী দাস, উপজেলা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ, ইউপি সদস্য হারুন রশিদ, গতকাল ব্যবসায়ী ফারুক আহমদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দেন। এ.এস.পি বিণা রানী দাস স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ডাকাতি ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম ষাড়াষী অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা পনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধ প্রবণ এলাকায় গ্রাম পুলিশের পাহারা ও পুলিশের টহল জোরধার করা হবে বলে তিনি জানান। ডাকাতির ঘটনায় বাড়ির মালিক বরকত উল্লাহর ছেলে জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন কে আসামী করে গতকাল থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেছেন। থানার মামলা নং- (১৯) ২২/১১।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়