অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের ঘটনাস্থল পরিদর্শন
নিজাম উদ্দিনঃ
গত শনিবার রাতে কানাইঘাটে ৪০তম জাতীয় সমবায় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উশৃঙ্খল লোকজন কতর্ৃক হামলা চালিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পন্ড ও উপজেলা প্রশাসনের ভিতরে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর এবং সমবায় মেলার ৮টি স্টল গুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় কানাইঘাট থানায় প্রশাসনের প থেকে জিডি দায়ের করা হয়েছে। উদ্বুদ্ধ ঘটনার পরিপ্রেেিত আজ রবিবার সিলেটের অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক) মিজানুর রহমান ভাংচুরকৃত মেলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে য়তি প্রত্য করেন। পরে বিকেল ৫টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম.সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ,জনপ্রতিনিধি এলাকার গণ্যমান্য লোকজন এবং কৌমি মাদ্রাসার শিকদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। সভায় শনিবারের অনাকাঙ্খিত ঘটনার চিত্র তুলে ধরে মাদ্রাসার শিক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ জনপ্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। কানাইঘাট দারুল উলূম মাদ্রাসার মোহাদ্দিস মাওঃ শামসুদ্দিন শনিবারে প্রশাসন চত্ত্বরে ভাংচুর ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনার সাথে কৌমি মাদ্রাসার ছাত্রশিকরা জড়িত নয়,অন্য একটি প এ ঘটনার সাথে জড়িত বলে মন্তব্য করেন। মাওঃ আব্দুল লতিফ বলেন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সিলেট থেকে নায়িকা আনার কারনে যারা টিকেট না পেয়ে হলে ঢুকতে পারেনি তারাই জিহাদের নাম করে মেলা স্টল ভাংচুর করেছে। পৌর আ'লীগের আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন বলেন, সরকারের ভাবমূর্তী ও আ'লীগের ইমেজ ুন্ন করার জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের নামে একটি চক্রের কারনে এ অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে,তিনি প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। কানাইঘাট দারুল উলূম মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওঃ ইসমাইল শনিবারের ঘটনার দুঃখ প্রকাশ করে বিষয়টি মামলার মধ্যে না গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের জন্য অনুরোধ করেন। ইউপি চেয়ারম্যান অধ্য সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। আ'লীগ নেতা আব্দুল মুমিন চৌধুরী কানাইঘাটকে আলিম উলামার জনপদ আখ্যায়িত করে বলেন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে এ ধরনের অনৈসলামিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান এবং অনাকাঙ্খিত ঘটনাটির সামাজিকভাবে নিষ্পত্তির অনুরোধ করেন। কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুর রহমান খান বলেন, সম্পূর্ণ গুজব রটানোর মাধ্যমে মাদ্রাসার ছাত্র ও সরলমনা ধর্মপ্রাণ লোকজনদের উত্তেজিত করে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। পৌর মেয়র ও উপজেলা আ'লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান অপৃথিকর ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ঘটনার সাথে মাদ্রাসার ছাত্র শিক ও পৌর সভার লোকজন জড়িত নয়, বাহির থেকে একটি মহলের ইন্ধনে এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি এলাকার সমপ্রীতি রার্থে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা বিষয়টির সমাধানের উপর গুরুত্বারূপ করেন। কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী প্রশাসন চত্ত্বর ও সমবায় মেলায় হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য পুলিশ প্রশাসন ও সরকারের হস্তপে কামনা করেন। জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আ'লীগ নেতা মাসুক উদ্দিন চৌধুরী ও অনুরূপ মন্তব্য করেন। মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, জাতীয় সমবায় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে যারা উপজেলা চত্বরের ভিতরে দলবেঁধে ঢুকে মেলার ৮টি স্টলে হামলা, লুট ও ভাংচুর করেছে তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। ইতি মধ্যে থানায় জিডি করা হয়েছে। অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটিয়ে যারা কানাইঘাটের সামাজিক সমপ্রীতি ও সরকারের ভাবমূর্তী ুন্ন করেছে তিনি এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইসলাম শান্তি ও সহনশীল ধর্ম, ইসলাম কখনো সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং অরাজকতায় বিশ্বাস করে না। অশ্লীলতা বিবর্জিত, ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত আনে না এমন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, শনিবারের ঘটনার সাথে জড়িতদের নিবীড় তদন্তের মাধ্যমে শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রার্থে তিনি সবাইকে একসাথে কাজ করারও আহ্বান জানান।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়