কানাইঘাটে স্বামী ও সন্তানের স্বীকৃতি না পেয়ে আত্মহননকারী কুমারী মাতা ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী সুলতানার নবজাতক কন্যা সন্তানকে দু’মাস পর অবশেষে উদ্ধার করা হয়েছে। কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুর রহমান খান জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার সুলতানার মা আমিনা বেগম ও নবজাতক সন্তানের দত্তক মাতা সিলেট সদর উপজেলার হাটখোলা ইউনিয়নের বাছাইর গ্রামের রুবেল মিয়া’র স্ত্রী মিনারা বেগম নবজাতক সন্তানটিকে নিয়ে থানায় হাজির হন। এদিকে উদ্ধার হওয়া নবজাতক কন্যা সন্তানটি’র পিতৃ পরিচয় নির্ধারনের জন্য আত্মহননকারী সুলতানার কথিত প্রেমিক গ্রেফতারকৃত রুবেল আহমদ (১৭) ও নবজাতক সন্তানটি’র ডিএনও পরীক্ষা গত বৃহস্পতিবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে বলে সুলতানার মায়ের দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর শফিকুল ইসলাম খান জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ধর্ষিতা সুলতানার গর্ভে জন্ম নেওয়া নবজাতক কন্যা সন্তানটিকে গ্রাম্য সালিশে জনৈক মহিলার কাছে দত্তক দেওয়া হলে মামলার তদন্তের স্বার্থে শিশু বাচ্চাটি উদ্ধারের জন্য তিনি সব ধরণের চেষ্টা চালান। সালিশদের কাছ থেকে নবজাতকটির দত্তক নেওয়া মা মিনারা বেগম কে চিহ্নিত করে স্থানীয় একজন ইউপি সদস্যের মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার মিনারা বেগম শিশু বাচ্চাটিকে তার নানী আমেনা বেগমের মাধ্যমে থানায় নিয়ে আসেন। আদালতের নির্দেশে শিশু বাচ্ছাটিকে তার নানী আমিনা বেগমের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে বলে শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বামী সন্তানের স্বীকৃতি না পেয়ে কানাইঘাট পৌরসভার বিষ্ণুপুর গ্রামের আমিনা বেগমের মেয়ে সুলতানা (১৮) বিষ পানে আত্মহত্যা করে।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়