কানাইঘাট পৌরসভার পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের সামনে বাঁশ ফেলে মালবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুর রহমান খান গত রবিবার এক ট্রাক শ্রমিককে আটক করেন। পরে ঐ দিন রাতে থানায় আটক ট্রাক শ্রমিক এবাদুর রহমানের কাছ থেকে মোছলেকা রেখে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জানা যায়, কানাইঘাট ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নামে মালবাহী সবধরনের ট্রাক থেকে নির্দিষ্ট হারে পৌরসভার পল্ল¬ীবিদ্যুৎ অফিসের সামনে বাঁশ ফেলে চাঁদা আদায় করে আসছিল। খবর পেয়ে গত রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে থানার ওসি শফিকুর রহমান খান একদল ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে চাঁদা আদায়কারী ট্রাক শ্রমিক এবাদুর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে রাতে কানাইঘাট পৌরসভার কাউন্সিলার ফখরুদ্দিন শামীম ও রহিম উদ্দিন ভরসা উপস্থিতিতে কানাইঘাট ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ও আটককৃত ট্রাক শ্রমিক এবাদুর রহমান রাস্তায় বাঁশ ফেলে চাঁদা আদায় করবেন না মর্মে থানায় মোছলেকা দিয়ে ছাড়া পান। ট্রাক চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, তারা বৈধভাবে সংগঠনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শুধুমাত্র মালবাহি ট্রাক থেকে শ্রমিক সংগঠনের তহবিলের জন্য নির্দিষ্ট হারে চাঁদা আদায় করে থাকেন। বাঁশ ফেলে পৌর কর্তৃপক্ষ সবধরণের মালবাহী যানবাহন থেকে টোল আদায় করে থাকে বলে তিনি জানিয়েছেন। এব্যাপারে থানার ওসি শফিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নামে বাঁশ ফেলে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের সামনে থেকে মালবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় ট্রাক শ্রমিক এবাদুর রহমানকে আটক করা হয়। পরে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করবেন না মর্মে মুছলেকা দিলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিক পৌর মেয়র লুৎফুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের সামনে থেকে মালবাহী সবধরণের যানবাহন থেকে পৌরসভার নির্দিষ্ট লোকদিয়ে টোল আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু কানাইঘাট ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়নের নামে একই জায়গা থেকে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
, জিন্দাবাজার সিলেট মোবাইল : +৮৮ ০১৭১
, জিন্দাবাজার সিলেট মোবাইল : +৮৮ ০১৭১
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়